ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৮ঢাকায় ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ডবৃষ্টির পর আগামী সপ্তাহে আবার তাপপ্রবাহের শঙ্কানারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা আজদেশের ৮ বিভাগে হতে পারে টানা বৃষ্টি
No icon

ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তি নিয়ে সংশয়

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর কেবল রাশিয়া কিংবা ইউক্রেনেরই ক্ষতি হচ্ছে না, ইউরোপ আমেরিকাসহ সারা বিশ্বকে এই যুদ্ধের ফল ভোগ করতে হচ্ছে। বিশ্বের অর্থনীতি সংকুচিত হচ্ছে, মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে এবং দেশে দেশে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। রাশিয়ার ওপর ঐতিহাসিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েও পিছু হটানো যাচ্ছে না। ফলে বিশ্ব নেতৃত্বও চিন্তায় পড়েছে যুদ্ধ বন্ধের কৌশল নিয়ে।

রাশিয়ার লক্ষ্য অনেক : যুদ্ধের শুরুতে রাশিয়ার লক্ষ্য ছিল ইউক্রেন যাতে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য না হয়। এ বিষয়ে লিখিত চুক্তি করলেই রাশিয়া সামরিক অভিযান বন্ধ করবে বলেই জানিয়েছিল রাশিয়ার শীর্ষ নেতৃত্ব। এরপর পূর্ব ইউক্রেন তথা দনবাস অঞ্চল (ইউক্রেনের হৃদপিণ্ড হিসেবে খ্যাত) দখল করার অভিপ্রায় জানিয়েছিল। এরপর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন যে, আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণের জন্য মস্কোর লক্ষ্য দক্ষিণ খেরসন এবং জাপোরিঝিয়া অঞ্চলগুলোকে এবং আরও কয়েকটি অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত করতে। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ইউক্রেনের বর্তমান শাসকদের কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। রাশিয়া ইউক্রেনকে বর্তমান শাসকদের হাত থেকে উদ্ধার করবে।ল্যাভরভ বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মানুষ একসঙ্গে শান্তিতে থাকবেন। আমরা ইউক্রেনের মানুষদের বর্তমান শাসকদের সরানোর জন্য সাহায্য করব। কারণ, এই শাসকরা শুধু জনগণের বিরোধী তা-ই নয়, তারা ইতিহাসবিরোধী। পশ্চিমা দেশগুলো অবশ্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলনস্কির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তারা মনে করছে, জেলেনস্কি যেভাবে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তা প্রশংসার যোগ্য। কিন্তু ল্যাভরভ বলেছেন, জেলেনস্কি এবং পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে রাশিয়ার চিরশত্রু বানাতে চাইছে। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এর আগে জানানো হয়েছিল, তারা শাসক পরিবর্তন করতে চায় না।

কিসিঞ্জারের তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা: গত বছরের মে মাসে দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলনে হেনরি কিসিঞ্জার ইউক্রেনে রাশিয়ার জন্য বিব্রতকর পরাজয় না চাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের প্রতি আহ্বান জানান। এ ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, এতে ইউরোপের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার অবনতি ঘটাতে পারে। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর ইউরোপের প্রতি রাশিয়ার গুরুত্বের কথা মনে রাখা উচিত এবং মুহূর্তের মোহে ভেসে যাওয়া উচিত নয়। এ সময় রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পূর্বতন স্থিতাবস্থা (স্ট্যাটাস ক্যু) আগের অবস্থায় ফিরে যেতে আলোচনায় বসার জন্য ইউক্রেনকে চাপ দিতে পশ্চিমাদের প্রতি আহ্বান জানান কিসিঞ্জার। যুদ্ধ শেষ করার জন্য ইউক্রেনের রাশিয়ার কাছে নিজের ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। যদিও পরে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে সমালোচনায় থাকা কিসিঞ্জার সুর উলটে দেন।