ঢাকা ছাড়লেন ডোনাল্ড লু বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছেড়েছেন শান্ত-সাকিবরাদেশের পাঁচ বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারিমে মাসের শেষ দিকে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়রাজশাহীতে বাগান থেকে গুটি আম নামানো শুরু
No icon

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিতে সম্মত বাংলাদেশ

বৈদেশিক সহায়তার আওতায় নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান পেতে চুক্তির যে বাধ্যবাধকতা দিয়েছিল দেশটি, তাতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ। কূটনৈতিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই চুক্তি করার একটি সময়সীমা দেওয়া আছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে কাল মঙ্গলবার একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হবে। এতে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের সামরিক খাতে যুক্তরাষ্ট্র যে অনুদান দিয়েছে, তা কোথায় কীভাবে ব্যয় হয়েছে, তার তথ্যও চায় বাইডেন প্রশাসন। আজকের আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ বিষয়ে কী মতামত পাঠানো যায় তা-ও ঠিক করা হবে।

কূটনৈতিক সূত্র জানায়, গত ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে পাঠানো এক চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্র জানায়- লিহেই আইনের নতুন সংশোধনী অনুযায়ী মার্কিন অনুদানপ্রাপ্তি অব্যাহত রাখতে চাইলে চুক্তি সই করতে হবে। বাংলাদেশ এই চুক্তি করবে কিনা সে বিষয়ে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে জবাব দিতে হবে। বাংলাদেশ কোথায়, কীভাবে ওই অনুদান ব্যবহার করছে, সেটাও যুক্তরাষ্ট্রকে জানাতে হবে। এ বিষয়ে ১২ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে জরুরি বৈঠক হয়। এতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা ছিলেন। তবে ১৫ ডিসেম্বরের আগে চুক্তি সইয়ের প্রস্তুতির কাজগুলো শেষ করা সম্ভব না হওয়ায় ঢাকার অনুরোধে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ায় ওয়াশিংটন। এর পর সামরিক অনুদান পেতে চুক্তিতে সম্মত হয় বাংলাদেশ।

স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিবছর বাংলাদেশকে বিরাট অঙ্কের সামরিক অনুদান দেয় যুক্তরাষ্ট্র। মূলত মানবাধিকার সুরক্ষার স্বার্থে বিদেশি নিরাপত্তা বাহিনীকে বিভিন্ন পর্যায়ে অনুদান দিয়ে থাকে দেশটি। এটি বিভিন্ন বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যয় হয়। দেশটির বৈদেশিক সহায়তা আইনের আওতায় এমন অনুদান পেয়ে আসছে বাংলাদেশ। এর আওতায় বাহিনীগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম দেওয়া হয়। গত ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র;্যাব ও এর সাবেক-বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে ওই আইনে সহায়তা পাওয়া না পাওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে বাংলাদেশ।