তানজানিয়ায় ভারী বৃষ্টি-ভূমিধসে নিহত ১৫৫মাসের শুরুতে বৃষ্টির আভাস, গরম কমা নিয়ে সংশয়ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রআগামীকাল ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণশপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতি
No icon

শনাক্তের পাঁচ মাস আজ: করোনার সংক্রমণ এখনও ঊর্ধ্বমুখী

দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পাঁচ মাস পূর্ণ হল আজ। তবে এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি এ প্রাণঘাতী ভাইরাস। প্রতিদিনই বাড়ছে নতুন রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা।করোনা শনাক্তের হারও ঊর্ধ্বমুখী। ঘরের বাইরে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতাও তেমনটা নেই। পবিত্র ঈদুল আজহায় পশুর হাট এবং মানুষের ঘরে ফেরায়ও ছিল না স্বাস্থ্যবিধির বালাই। এমন পরিস্থিতিতে আগামীতে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। তবে চতুর্থ মাসের তুলনায় পঞ্চম মাসে করোনা শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কম ছিল। এ সময় সুস্থতার হারও ছিল বেশি।বিশেষজ্ঞদের মতে, চতুর্থ মাসের তুলনায় পঞ্চম মাসে পরীক্ষা কম হওয়ায় শনাক্তের সংখ্যা কম ছিল। কিন্তু শনাক্তের হার গত মাসের চেয়ে কমেনি। উল্টো আরও বেড়েছে। চতুর্থ মাসে মোট শনাক্তের হার ছিল ১৯ দশমিক ৩১ শতাংশ। পঞ্চম মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৪০ শতাংশে। গত ২০ দিনে নতুন ৫০ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছে। বিশ্বে শনাক্ত বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৫তম এবং মৃত্যুর তালিকায় ২৯তম।দেশে ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় এবং ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, পাঁচ মাসে করোনাভাইরাস শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ৫২ হাজার ৫০২ জন। এ সময় মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৩৩৩ জনের। সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৮৪ জন। এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১২ লাখ ৩৭ হাজার ৮২৩টি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী প্রথম সংক্রমণের দেশ চীনে তিন মাসের মধ্যেই সংক্রমণ কমতে শুরু করেছিল। দক্ষিণ কোরিয়াতেও নিচের দিকে নামতে শুরু করেছিল সংক্রমণের হার। ইতালি, স্পেনসহ ইউরোপ এবং এশিয়ার কয়েকটি দেশেও চতুর্থ মাসের পর নিচের দিকে ছিল করোনা সংক্রমণ। কিন্তু বাংলাদেশ এবং পার্শ্ববর্তী ভারতে এখনও ঊর্ধ্বমুখী করোনা শনাক্তের হার।করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দেশে পঞ্চম মাসেও করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এ মাসে দেশে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পঞ্চম মাসে দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৮৭ হাজার ৮৫৭ জন। এ সময় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৮২ এবং সুস্থ ৬৭ হাজার ৪৮২ জন। দেশে মোট পরীক্ষা হয়েছে ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৩৪৩টি। এর আগের মাসে শনাক্ত ও মৃত্যু কিছুটা বেশি ছিল।পঞ্চম মাসে আগের চেয়ে সুস্থতার সংখ্যা বেশি হলেও এ মাসে পরীক্ষার সংখ্যা ছিল কম। চতুর্থ মাসে মোট শনাক্ত রোগী ছিল এক লাখ ২ হাজার ৮৭৬ জন। এ মাসে এক হাজার ২৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে চতুর্থ মাসে। এ সময় চার লাখ ৭৫ হাজার ৪৯৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। ৭ এপ্রিল পর্যন্ত সংক্রমণের প্রথম মাসে রোগী শনাক্ত হয় ১৬৪ জন, মারা যায় ১৭ এবং সুস্থ হন ৩৩ জন।প্রথম মাসে মোট ৪ হাজার ২৮৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল।

দ্বিতীয় মাসে রোগী শনাক্ত হয় ১২ হাজার ২৬১, মৃত্যুবরণ করেন ১৮২ এবং সুস্থ হন এক হাজার ৮৭৭। এ মাসে মোট পরীক্ষা হয়েছে এক লাখ ১ হাজার ২২৪টি। তৃতীয় মাসে আক্রান্ত হয়েছে মোট ৫৩ হাজার ৩৪৪ জন। এ মাসে মোট মারা যায় ৬৮৯ এবং সুস্থ হন ১১ হাজার ৯৯৩ জন। তৃতীয় মাসে নমুনা পরীক্ষা হয় ২ লাখ ৯৬ হাজার ৭৬৩টি।২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ২৮৫১, মৃত্যু ২৭ : গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুই হাজার ৮৫১ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ ৫২ হাজার ৫০২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন ২৭ জন। এ নিয়ে করোনায় এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৩৩৩ জন মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৭৬০ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৪৫ হাজার ৫৮৪ জন।শুক্রবার কোভিড-১৯ সম্পর্কিত নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।