ব্যাংক আলফালাহর ব্যবসা অধিগ্রহণ করবে ব্যাংক এশিয়াআজ এক ঘণ্টা বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট সেবাথাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীআনাড়ি হাতে ২০ টন ট্রাক, ফের সড়কে ঝরল ১৪ প্রাণইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র
No icon

ক্লাস-পরীক্ষা হবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান সংস্কারের পর

বন্যায় দেশের ৬ লাখ ১৬ হাজার ৯৬৮ শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যাকবলিত ১৮টি জেলার ৮৫টি উপজেলায় এখন পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম সম্ভব নয় এমন প্রতিষ্ঠান ৯৭৪টি। আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে ৫৭৬টি প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র, কম্পিউটার ল্যাব, বই কী পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের কী ধরনের সংস্কার প্রয়োজন- তার সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইং সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দ্রুত সংস্কার করে পাঠদান উপযোগী করা হবে। প্রয়োজন হলে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের নতুন বই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার তিনি বলেন, বন্যার কারণে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করতে হয়েছে। এখন যত দ্রুত বন্যার পানি নেমে যাবে তত দ্রুত আমরা প্রস্তুতি সেরে পরীক্ষা গ্রহণের দিকে যেতে পারব। বন্যাকবলিত জেলার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। এখনো সব জেলার তথ্য পাওয়া যায়নি। অনেক জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। শিক্ষকদের বাড়িতে পানি।

মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইংয়ের তথ্যমতে, সিলেট, রংপুর, কুমিল্লা, রাজশাহী এবং ঢাকা শিক্ষা অঞ্চলে ১৮ জেলার ৮৫টি উপজেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। বন্যায় ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার ১২৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ৬ লাখ ১৬ হাজার ৯৬৮ জন। এ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক আমির হোসেন  বলেন, বন্যাকবলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্য নেওয়া হচ্ছে। কিছু কিছু তথ্য ইতোমধ্যে এসেছে আমাদের কাছে। আরও বিস্তারিত তথ্য দিতে আমরা নোটিশ দিয়েছি। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার ল্যাব, ক্লাসরুম, বইসহ আসবাবপত্র কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, কোন ধরনের সংস্কার প্রয়োজন- এসব বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এরপর আমরা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেব। খুব দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে; যাতে ক্লাস পরীক্ষা চালু করা যায়।প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বন্যাকবলিত জেলাগুলোয় প্রায় ৩ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান স্থগিত করা হয়।

এর মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয় ১ হাজার ১৪৮টি বিদ্যালয়। বন্যায় প্লাবিত বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২ হাজার ৮২৮। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সিলেট অঞ্চল। সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এই অঞ্চল থেকে ৯৩০টি স্কুলের ১ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ শিক্ষার্থীর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা। অনেক স্কুলে পানি উঠেছে। আর মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়। বন্যাদুর্গত এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বন্যাকবলিত এলাকার শিক্ষাব্যবস্থায় সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমছে। পানি সরে যাওয়ার পর বন্যার তা-বের চিহ্ন একে একে বেরিয়ে আসছে। রাস্তা, ফসলের ক্ষেত, বসতভিটার ক্ষত বেরিয়ে পড়েছে। বন্যাপরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংস্কারসহ এই খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন শিক্ষাসংশ্লিষ্ট বিশিষ্টজনরা।