ব্যাংক আলফালাহর ব্যবসা অধিগ্রহণ করবে ব্যাংক এশিয়াআজ এক ঘণ্টা বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট সেবাথাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীআনাড়ি হাতে ২০ টন ট্রাক, ফের সড়কে ঝরল ১৪ প্রাণইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র
No icon

বিতর্কিত ব্যক্তির নামের প্রতিষ্ঠান এমপিও নয়

যুদ্ধাপরাধী বা ফৌজদারি অপরাধে দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নামে নামকরণকৃত, নেতিবাচক নামের কারণে সমাজে প্রভাব পড়তে পারেÑ এ রকম কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি হবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একটি দায়িত্বশীল সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।দুই বছর পর আবারও বেসরকারি স্কুল ও কলেজ এমপিওভুক্ত করতে যাচ্ছে সরকার। এ জন্য ১০ অক্টোবর থেকে আবেদন নেওয়া হচ্ছে। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন নেওয়া হবে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বিশেষ ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করবে সরকার। এক্ষেত্রে শিক্ষায় অনগ্রসর, ভৌগোলিকভাবে অসুবিধাজনক, পাহাড়ি এলাকা, হাওড়-বাঁওড়, চরাঞ্চল, ছিটমহল, বস্তি এলাকা, নারী শিক্ষা, সামাজিকভাবে অনগ্রসর গোষ্ঠী (প্রতিবন্ধী, হরিজন, সেবক, চা-বাগান শ্রমিক, তৃতীয় লিঙ্গ ইত্যাদি) এবং বিশেষায়িত, চারুকলা, বিকেএসপি ইত্যাদি সংস্থা পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনায় শর্ত শিথিলযোগ্য।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আমাদের সময়কে জানান, এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে স্কুল-কলেজের নামে খতিয়ানভুক্ত ও নামজারিকৃত নিজস্ব ভূমিতে অবকাঠামো এবং হালনাগদ একাডেমিক স্বীকৃতি থাকতে হবে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। তবে যুদ্ধাপরাধী বা ফৌজদারি অপরাধে দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নামে নামকরণকৃত কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি পাবে না। একইভাবে নেতিবাচক নামের কারণে সমাজে প্রভাব পড়তে পারে এ রকম কোনো প্রতিষ্ঠানও এমপিওভুক্তির আওতায় আসবে না। নাম পরিবর্তন করে গ্রহণযোগ্য নামকরণ করে এমপিওভুক্তির আবেদন করতে হবে।

আবেদনের যোগ্যতা :

শিক্ষার্থীর সংখ্যা- কাম্য শিক্ষার্থীর সংখ্যার ক্ষেত্রে ২০ নম্বর, কাম্য সংখ্যার পরবর্তী প্রতি ২০ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য ৫ নম্বর, কাম্য শিক্ষার্থী না থাকলে শূন্য, তবে সর্বোচ্চ ৩০ নম্বর। কাম্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যার ক্ষেত্রে ২০ নম্বর, কাম্য সংখ্যার পরবর্তী প্রতি ১৫ জনের জন্য ৫ নম্বর, কাম্য পরীক্ষার্থী না থাকলে শূন্য, তবে সর্বোচ্চ ৩০ নম্বর। পাবলিক পরীক্ষায় পাসের হার- কাম্য পাসের হার অর্জনের ক্ষেত্রে ২৫ নম্বর, কাম্য পাসের হার অর্জনের ক্ষেত্রে ২৫ নম্বর, কাম্য হারের পরবর্তী প্রতি ১০ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য ৫ নম্বর, কাম্য পাসের হার না থাকলে শূন্য, তবে সর্বোচ্চ ৪০ নম্বর। মোট ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত করা হবে।