ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রআগামীকাল ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণশপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতিহিট অ্যালার্ট আরও তিন দিন বাড়তে পারেরাঙামাটিতে সড়ক ও নৌপথে অবরোধ চলছে
No icon

ব্যাংকিং খাত বিপাকে প্রণোদনার ঋণ নিয়ে

করোনা ভাইরাস মহামারীতে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় বিভিন্ন খাতে গত এক বছরে ১ লাখ ২৮ হাজার ৩০৩ কোটি টাকার ২৩টি আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। সর্বশেষ গত ঈদুল আজহার আগে আরও ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার পাঁচটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। দুই প্যাকেজে ১ লাখ ৩১ হাজার ৫০৩ কোটি টাকার ২৮টি প্যাকেজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে বড় উদ্যোক্তাদের জন্য প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রার শতভাগই পূরণ করেছে ব্যাংকগুলো। কিন্তু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ বিতরণে অনীহা দেখা গেছে। অথচ ইতিহাস বলে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ দিলে তার বেশিরভাগই আদায় হয়, বিপরীত চিত্র বড় উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে।

জানা গেছে, ঋণ পরিশোধের নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও বেশিরভাগ বড় গ্রাহক তা পরিশোধ করতে পারছেন না। উল্টো এখন ব্যাংকের কাছে বাড়তি সময় চাইছেন তারা। এতে উভয় সংকটে পড়েছে ব্যাংক। একদিকে সময় বাড়িয়ে না দিলে খেলাপি ঋণ বেড়ে যাবে, এতে বাড়তি প্রভিশন রাখতে গিয়ে কমে যাবে আয়। অপরদিকে, বাড়তি সময় দিলে ঋণ আদায়ের হার কমে যাবে। এতে প্রভাব পড়বে ব্যাংকের বিনিয়োগ সক্ষমতার ওপর।এর পরেও গ্রাহকদের চাপে বাধ্য হয়েই ব্যাংকগুলো এক বছর সময় বাড়িয়ে দিচ্ছে। কিন্তু এতেও সন্তুষ্ট নন অনেক ঋণগ্রহীতা। তারা ঋণ পরিশোধে আরও দুই বছর সময় চাইছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালার বাধ্যবাধকতায় এক বছরের বেশি সময় বাড়ানো যাবে না। সব মিলে এখন প্রণোদনার ঋণ নিয়ে বিপাকে পড়েছে দেশের ব্যাংকিং খাত।