প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেনগরমের তীব্রতা কমাতে কী কাজ করেছেন, জানালেন হিট অফিসারবিনা ভোটে নির্বাচিত ৩৩ প্রার্থীসব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়েতাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির বেশি যেসব অঞ্চলে
No icon

ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধে অর্থনীতির চাকার ঘূর্ণন কমে গেছে। এতে বাড়ছে ক্ষতির পরিমাণ। বিধিনিষেধ আরও দীর্ঘায়িত হলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। ফলে ১৫ মাসের করোনার ক্ষতি কাটিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কার্যক্রম আরও বিলম্বিত হবে। চলমান কঠোর বিধিনিষেধের কারণে পুনরুদ্ধারের চেয়ে দেশের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। করোনার শুরু থেকে গত ১৫ মাসের মধ্যে সাড়ে ৬ মাসই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি সীমিত করা হয়েছে। এর প্রভাবে গত ১৫ মাসে ব্যবসা-বাণিজ্যের সর্বত্র নেমেছে ধস।এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিধিনিষেধের কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে মানুষের আয় কমছে। কমে যাচ্ছে ভোগ। ফলে অর্থনীতিতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। করোনার প্রথম ধাক্কা কাটিয়ে অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে, তখনই আসে দ্বিতীয় ঢেউ। এতে শ্লথ হয়ে পড়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি। যে কারণে করোনার আঘাত সহ্য করে অর্থনীতি নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াতে বেশি সময় লাগছে।

৫ এপ্রিল থেকে বিধিনিষেধ চলছে। এর মধ্যে কয়েক দফা শিথিল করার পর গেল শুক্রবার থেকে আবার শুরু হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে আবার স্থবিরতা নেমেছে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প পথে বসেছে। বড় শিল্প ধুঁকছে। কমেছে ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে করোনার শুরু থেকে মে পর্যন্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সার্বিক একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এসব তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, করোনার প্রভাবে দেড় বছরে ব্যাংকিং খাতে টাকার প্রবাহ বেড়েছে। কিন্তু ঋণের প্রবাহ বাড়েনি। ফলে রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে অলস টাকা। ঋণের সুদের হার কমানো এবং শর্ত শিথিল করা হলেও বাড়েনি চাহিদা। তবে সহজ শর্তে এবং কম সুদে প্রণোদনার ঋণ অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে অনেক সহায়তা করেছে। করোনার মধ্যে আর্থিক খাতে অনলাইন লেনদেন ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বেড়েছে। পাশাপাশি পণ্য সরবরাহে ই-কমার্সের চাহিদাও বেড়েছে। এতে এ খাতটি দাঁড়িয়ে গেছে। তবে শিল্প ও সেবা খাত বেশি ক্ষতি হয়েছে। কৃষির ক্ষতি হয়েছে তুলনামূলক কম। বরং কৃষি খাতের উৎপাদন বাড়ার কারণে অর্থনীতিতে করোনার নেতিবাচক প্রভাব সেভাবে পড়েনি।