১১৪ জনের লাশ তোলা হবে আজবিশ্বমণ্ডলে আলোচনায় বাংলাদেশগ্যাস পাইপ ছিদ্র হয়ে দুই স্থানে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১২মুক্তিযুদ্ধে যোগ হয় নতুন মাত্রাপঞ্চগড়ে বেড়েছে শীতের তীব্রতা ও কুয়াশা
No icon

গ্যাস পাইপ ছিদ্র হয়ে দুই স্থানে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১২

রাজধানীর আগারগাঁও এবং নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পৃথক দুটি গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনায় এক অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ ১২ জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের মধ্যে সাতজনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাইপের ছিদ্র থেকে জমে থাকা গ্যাসে আগুন লেগে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ শহরে মার্কেটে আগুন লেগে ৩৫টি কাপড়ের দোকান পুড়েছে। তিনটি ঘটনাই ঘটেছে গতকাল শনিবার ভোরে।আগারগাঁও সরকারি এফ-টাইপ কোয়ার্টারের একটি টিনশেড কলোনিতে গ্যাসের পাইপ ছিদ্র হয়ে বিস্ফোরণে একই পরিবারের সাতজনসহ মোট আটজন দগ্ধ হয়েছেন।দগ্ধরা হলেন আব্দুল জলিল মিয়া (৫০), তাঁর স্ত্রী আরনেজা বেগম (৪০), ছেলে আসিফ (১৯), সাকিব (১৬), আসিফের স্ত্রী মনিরা (১৭), (আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা), নাতনি ইভা (৬) ও আশা (৬)। প্রতিবেশী ফিরোজুল আলম (৩৫) তাদের বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ হন। তাদের সবার বাড়ি শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায়।

দগ্ধ জলিল মিয়ার মেয়ের স্বামী আরফান মিয়া জানান, শুক্রবার রাতে তারা পাশাপাশি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরের দিকে শাশুড়ি আরনেজা বেগম রান্নাঘরে গিয়ে ম্যাচ জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে বিকট বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন ধরে যায়।শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক আতিকুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, তাঁর ধারণা লাইনের গ্যাস ছিদ্র হয়ে বাসায় জমে ছিল। রাতে জানালা বন্ধ থাকায় গ্যাস বের হতে পারেনি। এ কারণে ম্যাচ জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। তিনি আরও জানান, কোয়ার্টারের ফাঁকা জায়গায় তৈরি করা টিনশেডে জলিল মিয়া পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন।বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. হারুনুর রশীদ জানান, দগ্ধ জলিল মিয়ার শরীর ১২ শতাংশ ও আরনেজা বেগমের ১০ শতাংশ পুড়েছে। তাদের দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মনিরাকে চিকিৎসা দিয়ে গাইনি বিভাগে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। প্রতিবেশী ফিরোজুল আলমকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর শরীরের ২১ শতাংশ পুড়েছে।

সোনারগাঁয়ে মোবাইল চার্জার থেকে বিস্ফোরণ কাঁচপুর ইউনিয়নের পাটাত্তা এলাকায় ছয়তলা বাড়ির নিচতলায় মোবাইল চার্জার বিস্ফোরণ এবং গ্যাস লাইনের ছিদ্র থেকে জমে থাকা গ্যাসে আগুন লেগে নারীসহ একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন।দগ্ধরা হলেন আজিমউদ্দিন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া আলাউদ্দিন (৩৫), তাঁর দুই মেয়ে শিফা আক্তার (১৪) ও সিমলা আক্তার (৪) এবং আলাউদ্দিনের মা জরিনা বেগম (৬৫)। তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, লাইনের ছিদ্র থেকে ঘরে গ্যাস জমে থাকা অবস্থায় আগুনের স্পর্শ পাওয়ায় এ বিস্ফোরণ হয়। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত, তা তদন্ত করা হচ্ছে।জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, চারজনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আলাউদ্দিনের ৪০ শতাংশ, সিমলার ৩০ শতাংশ, জরিনা বেগমের ২০ শতাংশ এবং শিফার ১২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। বর্তমানে তারা বার্ন ইনস্টিটিউটের ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান খান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। বাড়ির মালিক আজিমউদ্দিন মিয়া এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।