গতকাল সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। দুপুর থেকে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হয়েছে। স্থানভেদে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের কারণে কমেছে ভাপসা গরম। তবে রাজধানীতে বৃষ্টিপাতের আধিক্য বেড়ে ঝড়ো বাতাসসহ বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুখ জানান, গতকাল দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকায় মোট ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পরিমাণে পার্থক্য ছিল। আগারগাঁওয়ে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৮ মিলিমিটার। দুপুর থেকে বৃষ্টিপাত হলেও বিকেল ৩টার পর বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেড়েছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। আজ মঙ্গলবারও বৃষ্টিপাতের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকতে পারে।ওই কর্মকর্তা আরো জানান, টাঙ্গাইল, পাবনাসহ মোট ১৪ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়াসহ বজ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের ৫১ থেকে ৭৫ শতাংশ স্থানে এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ২৬ থেকে ৫০ শতাংশ স্থানে বৃষ্টিপাত হতে পারে।আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা কমে আসতে পারে।আবহাওয়াবিদ আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে। তবে গঙ্গা, পদ্মা, ব্রহ্মপুত্রসহ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়তে পারে। একই সময়ে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং এর আশেপাশে ভারতের কয়েকটি স্থানে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। এতে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনার প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী জয় রায়হান জানান, নদ-নদীর পানি গত দুই দিন থেকে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুই দিন আগে তিস্তা নদীর পানি বিপত্সীমা অতিক্রম করে যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা এখন নেমে গেছে। নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নেমে স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে।