চুয়াডাঙ্গায় হিট অ্যালার্ট জারিআমিরাতে বৃষ্টিতে গাড়িতে আটকা পড়ে মারা গেলেন দুই জন সেরেলাক-নিডোয় অতিরিক্ত চিনি, পরীক্ষা করবে বিএফএসএজাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ আটকে দিল যুক্তরাষ্ট্রভারতে লোকসভা নির্বাচনের ভোট শুরু
No icon

বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়

মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের উৎসবের মাঝেই এলো আরেকটি বড় আনন্দের খবর। গতকাল ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে বাংলাদেশ ১-০ গোলে হারিয়েছে কম্বোডিয়াকে। জয়সূচক গোলটি করেন রাকিব হোসেন। দশ মাস পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। এর আগে গত বছর কলম্বোতে মাহিন্দা রাজাপাকসে ট্রফিতে মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল জামাল ভূঁইয়ারা। এরপর সাতটি ম্যাচ খেলেও জয়ের মুখ দেখছিল না লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। মঙ্গোলিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র ছিল সেরা সাফল্য। এবার জয় পেল বাংলাদেশ। ফিফা রj;্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে দারুণ জয় পেয়েছে তারা। প্রধান কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরার অধীনে এই প্রথম বারের মতো জয় পেয়েছেন জামালরা। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর নেপালের বিপক্ষে কাঠমান্ডুতে আরেকটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।দাপুটে ফুটবল খেলে নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ের পর গত বুধবার দেশে ফিরেছে নারী ফুটবল দল। ছাদখোলা বাসে বিমানবন্দর থেকে বাফুফে ভবন পর্যন্ত তাদের রাজসিক সংবর্ধনা দিয়েছে ফুটবলপ্রেমীরা। মেয়েদের এই সাফল্যের মধ্যেই পুরুষ ফুটবলেও আনন্দের উপলক্ষ পেয়েছে বাংলাদেশ। নমপেনের মরোদোক টেকো জাতীয় স্টেডিয়ামে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে কেমন পারফরম্যান্স দেখান জামালরা, তা দেখার বিষয় ছিল। হতাশ করেননি তারা। খেলার শুরু থেকেই সুন্দর ফুটবল উপহার দেন কোচ কাবরেরার শিষ্যরা।

তবে ১৪ মিনিটে বাংলাদেশ গোলের সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেনি। বিশ্বনাথ ঘোষের লম্বা থ্রো-ইন থেকে জামাল ভূঁইয়ার প্লেসিং লক্ষ্যে থাকেনি। অল্পের জন্য বাইরে দিয়ে গেছে। ১৯ মিনিটে সুযোগ পায় কম্বোডিয়া। বক্সের প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে সিন কাকাডার ডান পায়ের বুলেট গতির শট গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো এক হাত দিয়ে কোনো মতে ফিস্ট করে দলকে রক্ষা করেন। তবে ২৩ মিনিটে বাংলাদেশকে আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন রাকিব হোসেন। মতিন মিয়ার বাড়ানো বলে বক্সে ঢুকে দেখেশুনে ডান পায়ের জোরালো শটে কম্বোডিয়ার গোলকিপারকে পরাস্ত করেন সদ্য বসুন্ধরায় যোগ দেওয়া এই ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে জামাল ভূঁইয়াকে মাঠ থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়। অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে গোল পরিশোধে মরিয়া কম্বোডিয়া একের এক আক্রমণ শানায় বাংলাদেশের রক্ষণে। কিন্তু বাদশা, বিশ্বনাথ, তারিকদের নিয়ে বাংলাদেশের রক্ষণ ভাঙা সম্ভব হয়নি। গোলপোস্টে জিকোর পারফরম্যান্সও ছিল দূর্দান্ত। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে আরও একটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। মতিনের দূরপাল্লার শট প্রথমে পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। ফিরতে সাজ্জাদের প্রচেষ্টা রক্ষা করেন স্বাগতিক গোলরক্ষক। শেষ দিকে কম্বোডিয়ার চেষ্টা করলেও সফল হয়নি। ফলে দারুণ জয় নিয়ে মাঠে ছাড়ে বাংলাদেশ।