মাত্রই শেষ হলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ২০২১-২২ মৌসুম। এর মধ্যেই দেশের ফুটবলে বড় দুুঃসংবাদ- ফুটবল থেকে নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছে জায়ান্ট সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। আচমকা সাইফের নিজেদের গুটিয়ে নেওয়ার খবরটি অনেকটা বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) এক চিঠিতে নিজেদের সরে যাওয়ার কথা জানিয়েছে দেশের ফুটবলের অন্যতম শক্তিশালী ক্লাবটি। সাইফ সরে দাঁড়ানোয় বড় ধরনের একটা ধাক্কা খেল দেশের ফুটবল। এ বিষয়ে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগকে মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি ও পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে মুঠোফোনে পাওয়া গেলেও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।অথচ সদ্য বিদায়ী মৌসুমের শিরোপাপ্রত্যাশী ছিল সাইফ এসসি। যদিও লিগ মৌসুম তারা শেষ করেছে তৃতীয় সেরা দল হিসেবে। ২২ ম্যাচে ১১ জয়, ৪ ড্রতে ৩৭ পয়েন্ট তাদের। লিগে টানা তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বসুন্ধরা কিংস।
তাদের চেয়ে ১০ পয়েন্ট পিছিয়ে রানার্সআপ হিসেবে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ঢাকা আবাহনী লিমিটেডকে। লিগ টেবিলে দুই বড় দলের পরই অবস্থান সাইফের। প্রিমিয়ার লিগে আত্মপ্রকাশের পর এটিই তাদের সর্বোচ্চ সাফল্য।প্রিমিয়ার লিগে সমীহ জাগানিয়া দলটি ভারতের বদু শা কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এএফসি কাপেও খেলেছে তারা; কিন্তু অর্ধযুগ পেরোতেই আচমকা সাইফ ফুটবল থেকে সরে যাচ্ছে! আক্ষেপের সুরেই রুহুল আমিন বলেন, দেখুন, একটি ক্লাবের কাজ হচ্ছে খেলোয়াড় তৈরি করা এবং ফুটবলে অবদান রাখা; কিন্তু আমরা ফুটবলে কী অবদান রাখতে পারছি, আমরা ফুটবলে কোনো অবদান রাখতে পারিনি। সাইফের সভাপতি প্রিমিয়ার লিগের আরেকটি ক্লাব চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের সহসভাপতিও বটে। রুহুল আমিন জানান, চট্টগ্রাম আবাহনীর কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলবে, সেটি বন্ধ হবে না। ফুটবলের বাইরে প্রিমিয়ার দাবায়ও একটি দল রয়েছে রুহুল আমিনের মালিকানাধীন। সাইফের সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়বে না সেখানেও।