জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চলতি বছর বিশ্বজুড়েই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়ছে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সাধারণত যে ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশা থাকার কথা, এবার তা নেই। আগামী এক সপ্তাহেও বড় কোনো পরিবর্তনের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ গতকাল এমন তথ্য জানিয়েছেন।গতকাল পূর্বাভাসে বলা হয়, শনিবার পর্যন্ত প্রতিদিনই সারাদেশে আংশিক মেঘলা আকাশসহ শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকতে পারে। প্রতিদিন ভোরের দিকে কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সময় রাত ও দিনের তাপমাত্রায় বড় কোনো পরিবর্তনের আভাস নেই, যদিও বৃহস্পতিবার সামান্য বাড়তে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থাতেও উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখছে না সংস্থাটি।গতকাল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েক দিন ধরেই সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ থেকে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ থেকে ২৮ ডিগ্রির ঘরে থাকলেও রাতের তাপমাত্রা অর্ধেকের নিচে নেমে যাচ্ছে। গত ছয় দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। আপাতত তাপমাত্রায় বড় কোনো পরিবর্তন নেই, তবে সামনে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।অন্যদিকে, ভরা শীতের মৌসুমেও দেশের বেশির ভাগ এলাকায় শীত না পড়ার কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কথা বলছেন। আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, সাধারণত এ সময় উত্তরের দিক থেকে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হওয়ার কথা থাকলেও সেটি নেই। ওপরের স্তরের ঠান্ডা বাতাসও বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে না। ফলে শীতের অনুভূতি কম।সিনিয়র আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, চলতি বছর দীর্ঘমেয়াদি বা তীব্র শীত পড়ার সম্ভাবনা কম। তবে জানুয়ারিতে ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে শীত কিছুটা বাড়তে পারে।আবহাওয়া বিশ্লেষণে দেখা গেছে, রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় দিনের তাপমাত্রা এখনও ১৬ ডিগ্রির নিচে নামেনি। গতকাল ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।