NEWSTV24
সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ আসামিরা না এলে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:৩২ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক মামলায় সাবেক ও বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩২ আসামির আজ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের দিন ধার্য রয়েছে। তবে তারা হাজির না হন অথবা তাদের হাজির না করা হয়, তাহলে সবাইকে হাজির হতে দুটি সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।তিনি বলেন, আসামিরা যদি হাজির হন এবং ট্রাইব্যুনাল তাদের জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন, তাহলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কারা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে, আসামিরা কোন কারাগারে থাকবেন।ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম-অপহরণ করে আটক, নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে গত ৮ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

দুই মামলাতেই শেখ হাসিনার সঙ্গে আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিককে। বাকি ২৮ আসামির ২৫ জন সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে কর্মরত ১৫ জনকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার কথা জানিয়েছে সেনাবাহিনী। এ জন্য ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা করা হয়েছে।হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার ও তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রসিকিউটর তামিম বলেন, প্রসিকিউশনের কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য আসবে না। কারণ, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পরোয়ানা পৌঁছে দিয়েছে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার কার্যালয়। সেখানে এ-সংক্রান্ত তথ্য আসবে। এরপর ট্রাইব্যুনাল ঘোষণা করবেন, তাদের কাছে তথ্য এসেছে কিনা? প্রসিকিউশন আদেশ কার্যকর বা বাস্তবায়ন না করার বিষয়ে প্রতিবেদন পেলে আইনের বিধান অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালকে পরের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানাবে।

জাতীয় দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরও যদি আসামিরা ট্রাইব্যুনালে না আসেন, তাদের পলাতক দেখিয়ে মামলা পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে (স্টেট ডিফেন্স) আইনজীবী নিয়োগ করা হবে।তামিম আরও বলেন, আসামিরা হাজির হন অথবা তাদের গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়, জামিন চাইলে ট্রাইব্যুনাল চাইলে দিতে পারেন। অথবা তাদের জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিতে পারবেন।