NEWSTV24
গভীর নিম্নচাপে টানা বৃষ্টি, জনদুর্ভোগ
শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:৪৩ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপ ও সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে সারাদেশের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাজধানীসহ বিভিন্ন মহানগরে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে; উপকূলের অনেক এলাকা প্লাবিত। পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপের অন্তত দুই শতাধিক ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি কয়েকশ পরিবার চরম দুর্ভোগে রয়েছেন।গতকাল বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করেছে। এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়, শুক্রবারও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির কারণে ঢাকাসহ বড় শহরগুলোয় অস্থায়ী জলাবদ্ধতা ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।এদিকে মার্কিন নৌবাহিনীর জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় শক্তি সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল রাতেই এটির ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ও উড়িষ্যার মধ্যবর্তী উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করার কথা। ঘূর্ণিঝড়টি সরাসরি বাংলাদেশ অতিক্রম করবে না।

কয়েকটি নদীর পানি বেড়েছে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ইতোমধ্যে দেশের কয়েকটি নদীর পানি বেড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ফেনী জেলার মুহুরী, সিলোনিয়া ও ফেনী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা দেখা দিতে পারে। একই সঙ্গে লালমনিরহাট, নীলফামারী, শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষ। টানা বৃষ্টিতে দ্বীপের পূর্বপাড়া, পশ্চিমপাড়া, মাঝেরপাড়া, নজরুলপাড়া ও কোনাপাড়া এলাকায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, দ্বীপের একমাত্র স্লুইসগেট বন্ধ করে দেওয়ায় পানি জমে আছে, নামতে পারছে না। সমুদ্র উত্তাল থাকায় দুদিন ধরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে।টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, একটি স্লুইসগেট বন্ধ থাকায় এ সমস্যা হয়েছে। গেট খোলার ব্যবস্থা নিচ্ছি।দেশের আট বিভাগেই ভারী বর্ষণের শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও বরিশালের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে।