রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমেই এই সংকটের সমাধান হতে পারে। কিন্তু এর জন্য কূটনৈতিক যে চাপ সৃষ্টি প্রয়োজন ছিল, তা ২০১৭-১৮ সালের পর আমরা খুব একটা করি নাই। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই ইস্যুকে বৈশ্বিকভাবে সামনে এনেছেন। আশা করা হচ্ছে, এই সংকট একটি সমাধানের দিকে যাবে। এসব কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।শনিবার প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এবং অক্সফাম ইন বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে শিরোনামের বাইরে: নতুন চোখে রোহিঙ্গা সংকট শীর্ষক সাংবাদিকদের দিনব্যাপী সভার সমাপনী অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।শফিকুল আলম বলেন, কূটনৈতিক ব্যর্থতার কারণে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি সেভাবে সামনে আসেনি। প্রধান উপদেষ্টা ইস্যুটিকে বৈশ্বিকভাবে সামনে আনার জন্যই জাতিসংঘকে অনুরোধ করেছিলেন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বিশেষ সভায় প্রধান উপদেষ্টা এ নিয়ে কথা বলবেন। ১৫০টির বেশি দেশ এতে অংশ নেবে।
জাতিসংঘ অধিবেশনে রাজনীতিবিদরা কেন যাচ্ছেন এ প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, জুলাই আন্দোলনে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল সম্পৃক্ত ছিল। রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের অংশীজন। প্রধান উপদেষ্টা নিজে দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এবার জাতিসংঘের ৮০তম অধিবেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তিনটি দল কেন যাচ্ছে এ প্রশ্নে তিনি বলেন, রিসোর্সের সীমাবদ্ধতা দেখতে হবে। জাতিসংঘের অধিবেশন তিন মাস ধরে চলে। হয়তোবা সরকার ভেবে দেখবে পরে আবার নতুন কাউকে পাঠাতে হয় কিনা।দিনব্যাপী সভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব ও পশ্চিম) এবং ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর ড. মো. নজরুল ইসলাম, পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, অক্সফাম ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশিষ দামলে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওবায়দুল হক, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. বুলবুল প্রমুখ আলোচক হিসেবে অংশ নেন।