NEWSTV24
বড় হারে সিরিজ খোয়ালো বাংলাদেশ
বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫ ১৬:৩১ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ৪৬তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন বাংলাদেশের পার্টটাইম স্পিনার শামীম পাটোয়ারি। তখনই বোঝা গিয়েছিল- ধীর উইকেটে নিচু হয়ে আসা স্পিন রহস্য হতে যাচ্ছে। লঙ্কান স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, দুনিথ ভেল্লালাগে স্পিনে ভালোই ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। তবে শ্রীলঙ্কার ২৮৬ রানের লক্ষ্যে নেমে পেস বোলিংয়েই আত্মহুতি দিয়েছেন তানজিদ-হৃদয়রা। ৩৯.৪ ওভারে ১৮৬ রানে অলআউট হয়ে মিরাজের দলও হেরেছে ৯৯ রানে। সিরিজ হেরেছে ২-১ ব্যবধানে।শ্রীলঙ্কায় লাল কিংবা সাদা বলে ম্যাচের ভাগ্য অনেকটাই টসের ওপর নির্ভর করে। সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডে যার সাক্ষী। পাল্লেকেলেতেও টসের দিকে তাকিয়ে ছিল দুই দল। লঙ্কান অধিনায়ক চারিথা আশালঙ্কা টস জিতে ব্যাটিং নিতে দুবার ভাবেননি। তবে ঠিক ১০০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে লঙ্কানদের চাপেই রেখেছিল বাংলাদেশ।সেখান থেকে তিনে ব্যাট করা কুশল মেন্ডিস সেঞ্চুরি তুলে নেন। পাঁচে খেলা আশালঙ্কা ফিফটি করেন। তারা ১২৪ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় রানের পথে তুলে নেন। কুশল ১১৪ বলে ১২৪ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। ১৮টি চারের শট খেলেন তিনি। আশালঙ্কা ৬৮ বলে নয় চারে ৫৮ রান করে আউট হন। শেষটায় ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ১৪ বলে ১৮ রান করে দলে রান বাড়িয়ে নেন। তার আগে ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ৩৫ রান যোগ করেন।

পুরনো বলে স্পিন খেলা কঠিন হবে জেনেই দ্রুত রান তোলার পরিকল্পনা নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওপেনার তানজিদ তামিম ১৩ বলে ১৭ করে ফেরেন। ক্রিজে এসেই শূন্য করে সাজঘরে হাঁটা দেন সিরিজের আগে ওয়ানডে নেতৃত্ব হারানো নাজমুল শান্ত। এরপর পারভেজ ইমন, মেহেদী মিরাজরা সেট হয়ে আউট হন। ইমন ৪৪ বলে ২৮ এবং মিরাজ ২৫ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ২৮ রান করে ফেরেন। ১০৫ রানে বাংলাদেশ চতুর্থ উইকেট হারানোর পর ধসে যেতে সময় লাগেনি।নতুন বলে লঙ্কান পেসাররা প্রথম দুই উইকেট নেওয়ার পর স্পিনাররা নেন পরের তিন উইকেট। ইমন, মিরাজকে ফেরান ভেল্লালাগে। হাসারাঙ্গা তুলে নেন শামীমকে (১২)। তাওহীদ হৃদয় ওই দুই স্পিনারকে সামলে ফিফটি করতেই পেসার চামিকা করুনারত্নের বলে বোল্ড হন। চারে নামা এই ব্যাটার ৭৮ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন। জাকের আলী ৩৫ বলে ২৭ রান করে বোল্ড হন আরেক পেসার আসিথা ফার্নান্দোর বলে।স্পিন স্বর্গে লঙ্কান পেসার করুনারত্নে ও ফার্নান্দো তিনটি করে উইকেট নেন। বাকি চার উইকেট হাসারাঙ্গা ও ভেল্লালাগে ভাগ করে নেন। বাংলাদেশের পেসার তাসকিন ও স্পিনার মিরাজ দুটি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট দখল করেন তানজিম সাকিব, তানভীর ইসলাম ও শামীম পাটোয়ারি।