NEWSTV24
গরমে জীবন হাঁসফাঁস
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:১৫ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

মাঝে কয়েকদিনের বিরতির পর গরম বাড়তে থাকায় তাপপ্রবাহ ২৪ জেলায় ছড়িয়েছে। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। সকাল থেকেই প্রখর রোদের তাপ। বেলা গড়াতে না গড়াতেই ঝাঁজালো রোদে ঘরের বাইরে থাকা দুষ্কর হয়ে পড়ছে। এতে কৃষক, নির্মাণ শ্রমিক ও রিকশা-ভ্যানচালকসহ নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বেশি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এমন পরিস্থিতি থাকবে রোববার পর্যন্ত; এর পর থেকে কমতে থাকবে গরমের দাপট।গতকাল বৃহস্পতিবার রাজশাহী ও খুলনা বিভাগ (রাজশাহীর ৮ ও খুলনার ১০ জেলা), মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, দিনাজপুর এবং নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৩৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, রোববার পর্যন্ত আবহাওয়া এমনই থাকবে। তাপপ্রবাহের পরিধি হয়তো বাড়বে না, তবে থাকবে। রোববারের পর বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কিছুটা কমে যেতে পারে।

এদিকে গরমে বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক খালেক হোসেন বলেন, দু দিন ধরে অনেক গরম। বাইরে তো গরম আছেই, গাড়ির ভেতরে ইঞ্জিনের গরম। রাস্তায় বেশিক্ষণ থাকতে পারি না।তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার চা দোকানদার আবু বকর বলেন, গরমে দিনে চা বিক্রি কমে গেছে।রাজশাহী নগরের চৌদ্দপাই এলাকার ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক। দুপুরের রোদে সড়কটির পাশেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়াল তৈরি করছে এক দল শ্রমিক। তপ্ত রোদ থেকে বাঁচতে কেউ মাথায় বেঁধেছেন গামছা, কেউ পরেছেন টুপি। এর মধ্যে মাশরাফি নামের এক তরুণ শ্রমিক জানালেন, তাপমাত্রা এত যে, গা পুড়ে যাচ্ছে। মাথায় কিছু না দিলে মনে হয় চুলে আগুন ধরে গেছে।আরও কয়েকজন শ্রমিক বলেন, এমন গরমে কাজ করতে তাদের বেশ কষ্ট হচ্ছে। নিরুপায় হয়ে বারবার পানি পান করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।টানা পাঁচ দিন মৃদু ও মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায়। রোদ-গরমের কারণে শহরের অনেককে গাছের নিচে কিংবা রাস্তার পাশের কোনো স্থাপনার ছায়ায় বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে।চুয়াডাঙ্গা শহরের ভ্যানচালক মাহমুদুর রহমান বলেন, রোদের কারণে খোলা ভ্যানে কেউ উঠতে চাচ্ছেন না। যাত্রী পাচ্ছি না। উপার্জন কমে গেছে।