NEWSTV24
ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৪৭ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

রাজধানী ঢাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা কমছেই না। বৈশাখের শুরু থেকে বৃষ্টি হলেও ঢাকার বায়ুমানের তেমন উন্নতি হয়নি। আজ ছুটির দিন হলেও ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর বলে জানিয়েছে একিউআই সূচক।শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় আজ শীর্ষ দুইয়ে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ১৮৯ স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। আর ২৬৯ পয়েন্ট নিয়ে সেনেগালের ডাকার রয়েছে তালিকার শীর্ষে।এ ছাড়া ১৬৫ পয়েন্ট নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর তৃতীয়, ১৬৩ নিয়ে ভিয়েতনামের হ্যানয় চতুর্থ এবং ১৬০ পয়েন্ট নিয়ে ভারতের দিল্লি রয়েছে তালিকার পঞ্চম স্থানে।যখন দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বাতাসের গুণমানকে মাঝারি বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে তা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

আর ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে খুব অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়।এ ছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে বিপজ্জনক হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।গত বছর সবচেয়ে দূষিত বায়ুর দেশ ছিল বাংলাদেশ ও চাদগত বছর সবচেয়ে দূষিত বায়ুর দেশ ছিল বাংলাদেশ ও চাদ বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।