চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ বিশ্বের মূল্যস্ফীতির হার ৪ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছাবে। ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতির কারণে বিদেশের মাটিতে অবস্থিত দেশের কূটনৈতিক মিশনের চাকরিজীবীদের জীবনযাত্রার ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়েছে। এই মূল্যস্ফীতির প্রতিঘাত মোকাবিলায় শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের ৬০টি কূটনৈতিক মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘বৈদেশিক’ ভাতা বাড়ানো হয়েছে। তবে ভাতা বাড়েনি ২০ দেশের মিশনের। স্থানীয় মুদ্রার বিনিময় হারের সঙ্গে সমন্বয় করে ক্ষেত্রবিশেষ সর্বনিম্ন ২ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে, যা কার্যকর হয়েছে ১ জানুয়ারি থেকে। সম্প্রতি অর্থ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে সংশ্লিষ্ট মিশনগুলোকে চিঠি দিয়েছে।
এদিকে ভাতা বাড়ানোর পর সেটি পরিশোধ করতে হবে মার্কিন ডলারে। কিন্তু দেশে বর্তমান ডলারের সংকট কাটেনি। ফলে ভাতা বাড়ানোর পর বাজেটে কী ধরনের চাপ আসতে পারে সেটিও পর্যালোচনা করছে অর্থ বিভাগ। সেখানে দেখা গেছে বর্ধিত ভাতা কার্যকরের পর এ খাতে বিদ্যমান বরাদ্দ থেকে অতিরিক্ত ১১ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার ব্যয় বেশি হবে। অর্থাৎ ব্যয় বাড়বে ১১ শতাংশ।