NEWSTV24
রাষ্ট্র না বদলালে সমাজ বদলাবে না
শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫ ১৬:০০ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

আদর্শভিত্তিক রাজনীতি, সুশাসন ও দেশের উন্নয়ন হাত ধরাধরি করে চলে। আদর্শচ্যুত রাজনীতির কাছ থেকে সমাজ ও দেশ কিছু আশা করতে পারে না। তাতে বরং গণতান্ত্রিক চর্চা বিঘ্নিত হয়। স্বাধীনতার সাড়ে পাঁচ দশক পেরিয়ে আসার পরও দেশে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। রাজনীতিতে আদর্শ, জনকল্যাণ, আত্মত্যাগ ও নৈতিকতা ক্রমে দুর্বল হয়েছে। এক পর্যায়ে রাজনীতি হয়ে ওঠে বিত্ত-বৈভব অর্জনের হাতিয়ার। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দেশের বর্তমান বাস্তবতা, রাজনীতির ভবিষ্যৎ নানা বিষয়ে মুখোমুখি হয়েছিলেন বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। বাংলাদেশে তরুণরা, বিশেষ করে ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে। এটাকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

ঘটনাটি ঘটিয়েছে তরুণরাই। অতীতে বড় বড় ঘটনা ঘটেছে ছাত্র-জনতার ঐক্যের ভিত্তিতেই; যেমন রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধ, এরশাদবিরোধী নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান। শেখ হাসিনার পতনও তরুণদের শুরু করা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই ঘটল।কিন্তু আসলে ঘটেছেটা কী, সেটার বিবেচনাও জরুরি। কেউ বলছেন দ্বিতীয় স্বাধীনতা, কারো ধারণা আরো অগ্রসর, বলছেন বিপ্লবই ঘটে গেছে। বাস্তবে কিন্তু দুটির কোনোটি ঘটেনি। যেটা ঘটেছে তা হলো, নৃশংস একটি সরকারের পতন।আর এই পতন অনিবার্য করে তুলেছে সরকার নিজেই। বিগত সরকার ছিল চরম ফ্যাসিবাদী এবং শেষের দিনগুলোতে তার আচরণ ছিল অবিশ্বাস্য রকমের নৃশংস। সরকারের নৃশংসতা ও মনুষ্যত্বের অপমান সরকারের পতন নিশ্চিত করেছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর সরকারবিরোধী আন্দোলনের ভূমিকাও কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না।বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে তারা সরকারের জনবিচ্ছিন্নতাকে স্পষ্ট করে তুলেছিল। সরকারের পতন অবশ্যই ঘটত। সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে সরকার যদি সরে যেত, তাহলে এত মৃত্যু ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটত না; সরকারকেও দেশ ছেড়ে পালাতে হতো না। তারা বিরোধী দল হিসেবে থাকতে পারত। চরমপন্থার চরম ফল ঘটেছে।