অগ্রহায়ণ শেষ হতে আর মাত্র কদিন বাকি। এর পরই শুরু হবে পৌষের হাড়কাঁপানো শীত। অবশ্য এর মধ্যেই শীত তার তীব্রতা জানান দিচ্ছে। তাপমাত্রার পারদ নেমে যাওয়ার পাশাপাশি দেশের বেশির ভাগ এলাকা কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে।বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলে শীতের তীব্রতায় জনজীবন বিপর্যস্ত। প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। শীতে ঠান্ডাজনিত রোগ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা ডায়রিয়া ও ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এ মৌসুমেই দেখা মিলবে শৈত্যপ্রবাহের। এটা চলতি মাসের দ্বিতীয়ার্ধেই বয়ে যেতে পারে।গতকাল বুধবার নওগাঁর বদলগাছীতে থার্মোমিটারের পারদ নেমেছে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আগের দিনও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস নথিবদ্ধ হয় এ জেলায়।কবে নাগাদ শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে এমন প্রশ্নে আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, আজ থেকে অনেক শীত পড়বে। শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও এর কাছাকাছি তাপমাত্রা থাকবে। আগামী ২০ তারিখ পর্যন্ত এমনই থাকবে তাপমাত্রা; কমবে-বাড়বে।
গতকাল আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়, সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি এবং দিনে তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন এবং অন্যান্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জনপদ নওগাঁয় দু দিনে সূর্যের দেখা পাননি স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল বেলা ১১টা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় ঘন কুয়াশা দেখা গেছে। এ সময় বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ছিল শিশির। সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে গাড়ি।কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীত বেড়েছে। বুধবার সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জয়পুরহাটে তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে নওগাঁর আবহাওয়া অফিস। কনকনে শীত জেঁকে বসেছে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায়।বগুড়ায় রোববার রাত থেকে গতকাল প্রতিদিন সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে দেখা যাচ্ছে না কোনো কিছু। দুপুরের পর সূর্যের দেখা মেলে। লোকজন গরম কাপড় কিনতে ছুটছেন।