NEWSTV24
চালানোর সক্ষমতা নেই এমন কারখানা বন্ধ করা হবে
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:২৫ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, চালানোর সক্ষমতা নেই এমন কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের অনুষ্ঠিত বৈঠকের বিষয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।আসিফ বলেন, অভ্যুত্থানের পর শ্রম খাতে অসন্তোষ অনেক বেশি ছিল। সরকার প্রায় প্রতিটি দাবি আমলে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। কিন্তু মালিক পক্ষ থেকে বেতন দেওয়া না হলে শ্রমিকরা বসে থাকবে না এটা স্বাভাবিক। বেক্সিমকোর অনেক কারখানার বেতন দুই মাস থেকে বন্ধ। সরকার ব্যাংকের মাধ্যমে তা জোগাড় করে দিয়েছে। তবে এটা এভাবেই চলতে থাকবে আমরা তা চাই না। একটা স্থায়ী সমাধানে যেতে একটা উচ্চ ক্ষমতার কমিটি করা হবে, তারা প্রস্তাবনা দেবে। অনেক কারখানা আর চালু করে রাখার মতো পরিস্থিতি নেই। কারণ সেসব কারখানার ক্রয়াদেশ নেই, চালানোর মতো সক্ষমতা নেই। শ্রমিক রেখে দীর্ঘদিন চালু রাখা সম্ভব না। মূল্যায়নের ভিত্তিতে সেসব কারখানা সরকার বন্ধ করে দেবে। এ ক্ষেত্রে শ্রমিকদের যথাযথ বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হবে।

সাত কলেজ, স্বতন্ত্র কলেজসহ নানা দাবিতে সম্প্রতি শিক্ষার্থীরা দফায় দফায় সড়কে নেমেছেন এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সব দাবি নিয়মমাফিকভাবে জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন। মাহফুজ বলেন, শিক্ষার্থীদের অনেক ধরনের দাবি দাওয়া আছে। তবে কোনো ধরনের উস্কানি বা নেতিবাচক কিছুতে প্রভাবিত না হয়ে আপনারা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় আসুন। সরকারের দরজা আলোচনার জন্য উন্মুক্ত।এ সময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, জনভোগান্তির সৃষ্টি করে রাতারাতি একটি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি কতটা যৌক্তিক সেটা ভেবে দেখা দরকার। তিনি বলেন, যখন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছিল তখন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদসহ আমি ছিলাম, সেখানে সফল আলোচনা হয়েছিল।আন্দোলনকারীরা সন্তুষ্ট ছিল। সমাধানের একটা পথ বের হয়েছিল। কিন্তু এরপর তিতুমীর কলেজে যে ঘটনা ঘটল এটা দুঃখজনক। তাদের মতে অনুপ্রবেশকারীরা ট্রেনে পাথর ছুড়েছে, এতে একটি শিশুর মাথা ফেটে গেছে। এরপর আজকেও ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ অঞ্চলটাতে প্রায়ই এ ধরনের সংঘাত দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান থাকবে সংঘর্ষে না জড়িয়ে নাগরিক দায়িত্ব পালন করতে।

জেনেভায় বিব্রতকর পরিস্থিতির বিষয়ে আইন উপদেষ্টা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি ব্যক্তি আসিফ নজরুলের সঙ্গে কোনো সমস্যা না। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টার সঙ্গে সংঘটিত ঘটনা। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানান তিনি।শিক্ষা কমিশন-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, কমিশন করা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। সামনে আরও কিছু কমিশন করা হতে পারে। শিক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। এ খাতে সংস্কার জরুরি। আবার বেশি কমিশন করলে প্রশ্ন ওঠে।প্রবাসী শ্রমিকদের পাসপোর্ট জটিলতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, এখানে একটু জটিলতা আছে। দেশে এখন দুই ধরনের পাসপোর্ট আছে। একটা ই-পাসপোর্ট আরেকটা হলো এমআরপি (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট)। ই-পাসপোর্ট দেওয়ার বিষয়ে কোনো সংকট নেই। কিন্তু ই-পাসপোর্ট করতে যেসব তথ্য উপাত্ত লাগে, সেটা প্রবাসী শ্রমিকরা করতে চয় না। তারা এমআরপি করতে চায়। এই চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব, পাসপোর্টের ডিজির সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় পণ্য আনতে এলসি খোলা হয়েছে। ডিসেম্বরের ১০ তারিখের মধ্যে পাসপোর্ট সরবরাহ শুরু হবে। তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানে জড়িত থাকা কয়েকজন প্রবাসী শ্রমিক এখনও আরব আমিরাতে আটক আছেন। সরকার তাদের আনার বিষয়ে কাজ করছে।