NEWSTV24
রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে শিক্ষাব্যবস্থার বৈষম্য দূর করা হবে : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪ ০১:১৪ পূর্বাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে শিক্ষাব্যবস্থায় বিদ্যমান সকল বৈষম্য দূর করা হবে। স্কুল, কলেজ, মাদরাসার সকল বিভাগের শিক্ষাকে জাতীয়করণ করার প্রচেষ্টা থাকবে।’তিনি বলেছেন, ‘মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা: ঘোষিত কুরআন ও হাদিস অনুসরণ করলেই কেবল উন্নত জাতি গঠন করা সম্ভব।’শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন আয়োজিত বিশ্ব শিক্ষক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘চরিত্র ও শিক্ষা একসাথে না থাকলে শিক্ষার সুফল পাওয়া যায় না। একজন শিক্ষক যখন জাল সনদ লিখতে পারে, ভোট চুরিতে সহায়তা করতে পারে, পাঁচ ভাগ ভোটকে ৬০ ভাগ ভোট দেখাতে পারে তখন শিক্ষার কোনো মান-মর্যাদা থাকে না। নৈতিকতাহীন এই শিক্ষা দিয়ে জাতি গঠন করা যায় না। এটি জাতির জন্য খুবই লজ্জার।’

শিক্ষিত ব্যক্তি যদি চরিত্রহীন হয় তবে সে পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট হয়ে যায় মন্তব্য করে মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রচিত শিক্ষানীতিতে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয় থাকলেও পরীক্ষা ছিল না। পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা ও জ্ঞানের মূল্যায়ন হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ বলছে, বিষয় থাকুক কিন্তু পরীক্ষা হবে না। দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের তামাশা দেখতে দেখতে অসহ্য হয়ে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘শিক্ষানীতি যদি এক ব্যক্তি বা এক দলের স্বার্থ হাসিলের জন্য রচিত হয় তবে সেই শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড হতে পারে না। জাতিকে ধ্বংস করতে পারে। আওয়ামী লীগের রচিত শিক্ষানীতি মানুষের নীতি-নৈতিকতা নষ্ট করার শিক্ষানীতি। এই শিক্ষা দিয়ে আদর্শ মানুষ গঠন করা সম্ভব নয়। আর আদর্শ মানুষ গঠন করতে না পারলে আদর্শ ও কল্যাণরাষ্ট্র গঠন করা যাবে না। এই শিক্ষাব্যবস্থা বহাল থাকলে নতুন বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন পূরণ হবে না। নতুন বাংলাদেশ গঠনের জন্য কুরআন ও সুন্নাহ্ অনুসারে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে হবে।’

জামায়াতে ইসলামী কোনো আবু জাহেল সৃষ্টি হোক চায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে, স্কুল-কলেজে, পাড়া-মহল্লা, ঘরে-ঘরে ওমর সৃষ্টি হোক। শেয়ার বাজার, ব্যাংক, বীমা যারা লুট করেছে তারা কেউই অশিক্ষিত নয়, তারা নৈতিকতাহীন, চরিত্রহীন অমানুষ। আওয়ামী লীগের আমলারা দুর্নীতি করতে করতে সীমাহীন পর্যায়ে চলে গেছে, প্রশাসন দলীয় বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগের সেই দুর্বল প্রশাসনকে দেশপ্রেমিক মানুষ সবল ও জনবান্ধব করে তুলতে কাজ করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সকল শ্রেণিপেশার মানুষ সহযোগিতা করছে।’