আগস্টের পর সেপ্টেম্বর মাসেও প্রবাসী আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২৪০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। আগের বছরের একই মাসের তুলনায় যা ১০৭ কোটি ডলার বা ৮০ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি। গত দুই মাসে ভালো প্রবৃদ্ধির কারণে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।সংশ্লিষ্টরা জানান, রেমিট্যান্স ব্যাপক বৃদ্ধির ফলে ডলার বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে ডলারের দর ১২০ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। আবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও একটু করে বাড়ছে। গত মাসে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) জুলাই-আগস্টের দায় বাবদ ১৩৭ কোটি ডলার পরিশোধ হয়। এরপর রিজার্ভ কমে ১৯ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। পরে আবার বেড়ে গত সপ্তাহ শেষে ১৯ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। অবশ্য আকুর দায় শোধের আগে গত মাসের প্রথম সপ্তাহে রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠেছিল। তবে সেখান থেকে কমতে কমতে এ পর্যায়ে নেমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে প্রবাসীরা মোট ৬৫৪ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ৪৯০ কোটি ডলার। এর মানে প্রথম প্রান্তিকে বেশি এসেছে ১৬৪ কোটি ডলার। আবার একক মাস হিসেবে গত সেপ্টেম্বরের এ রেমিট্যান্স আগের মাস আগস্টের তুলনায় ১৮ কোটি ডলার বা ৮ দশমিক ১২ শতাংশ বেশি। আগস্টে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ২২২ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন। আর অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে এসেছিল ১৯১ কোটি ডলার। এখন পর্যন্ত একক কোনো মাসে সর্বোচ্চ ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্সের রেকর্ড হয় ২০২০ সালের জুলাইতে।ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন হয়। এরপর থেকে রেমিট্যান্স বাড়ছে। এর আগে সরকারকে অসহযোগিতার জন্য ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স না পাঠাতে ব্যাপক ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছিল। আবার আন্দোলন দমনের জন্য তখন বেশ কয়েক দিন ব্যাংকসহ সব ধরনের অফিস বন্ধ রাখা হয়। এসব কারণে জুলাই মাসে রেমিট্যান্স কমে ১৯১ কোটি ডলারে নেমে যায়।