NEWSTV24
মাঠ গোছাচ্ছে বিএনপি
মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:০৫ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তৃণমূলকে গুরুত্ব দিয়ে মাঠ গোছাচ্ছে ১৬ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। এজন্য গত বছরের ১৩ জুলাই সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতে ৩১ দফা নিয়ে জেলায় জেলায় যাচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এসব সমাবেশে নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীর উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা ইতোমধ্যে জনগণের কাছে তুলে ধরেছি। আমরা ৩১ দফাকে কর্মসূচি আকারে আবার মানুষের সামনে নিয়ে যাচ্ছি। জানা যায়, সরকার পতনের পর থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তৃণমূলের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছেন। বিভিন্ন জেলায় সমাবেশের আয়োজন করে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখছেন। সাংগঠনিকভাবে বিভাগ ও জেলার দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন দফায় দফায়। তাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। নির্বাচন ঘিরে হাইকমান্ডের এমন তৎপরতা চোখে পড়েছে। তৃণমূল নেতারা বলছেন, তারেক রহমান সবসময় তৃণমূলকে গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। আন্দোলন থেকে শুরু করে যেকোনো কর্মসূচি পালনে ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন। সবার মতামতের ভিত্তিতে সংগঠনকে ঢেলে সাজাচ্ছেন। আন্দোলন কর্মসূচিতে সক্রিয়দের নেতৃত্বের সামনে আনা হচ্ছে। তারা বলেন, তারেক রহমানের সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিশেষ করে উৎপাদন উন্নয়নের রাজনীতির প্রতিশ্রুতি বিশেষ আকর্ষণ সৃষ্টি করেছে। তার বক্তব্যে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত হচ্ছেন। জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমান তৃণমূলসহ সারা দেশে বিএনপিকে সংগঠিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। স্বৈরাচার হাসিনাকে হটানোর জন্য আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই আন্দোলনের শত শত নেতা-কর্মীর রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পতন হলেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আমাদের শতভাগ সমর্থন রয়েছে। আগামী নির্বাচনের জন্য তারেক রহমান জেলায় জেলায়, বিভাগীয় পর্যায়ে সভাবেশ করে নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করছেন। আগামী দিনে একটি নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমেই দেশের সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে বলে আমরা আশাবাদী। বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলছেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাদের উদ্দেশে বিভিন্ন জায়গায় বলেছেন, বিগত সময়ে বিএনপির দুঃসময়ে তৃণমূল নেতা-কর্মীরাই দলের পক্ষে থেকে সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করেছেন। এক-এগারোর সময় ষড়যন্ত্র হয়েছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। ষড়যন্ত্র ছিল বিএনপির বিরুদ্ধে, তখন তারা বিএনপিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল নেতা-কর্মীদের কারণে তা সম্ভব হয়নি। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থেকে সে সময় সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেছেন। তৃণমূল নেতা-কর্মীরা হলেন বিএনপির প্রাণ। রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের আচার-আচরণেও গুণগত পরিবর্তন জরুরি। তাই আমার আহ্বান কোনো প্রলোভন কিংবা উসকানিতে বিভ্রান্ত না হয়ে জ্ঞানভিত্তিক রাষ্ট্র এবং সমাজের নেতৃত্ব দানের জন্য নিজেদের প্রস্তুত রাখুন। জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সংসদ এবং সরকার প্রতিষ্ঠায় এই সরকারের সব সংস্কার কার্যক্রমের প্রথম এবং প্রধান টার্গেট হওয়া জরুরি।