সন্তানের পরিচিতি ও উপাধি সাধারণত তার পিতার সঙ্গে সংযুক্ত হয়। কিন্তু জয়নব বিনতে সুলাইমান বিন মুহাম্মদ বিন আলী বিন আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস হাশেমি ছিলেন আব্বাসীয় খিলাফতের এমন মর্যাদাসম্পন্ন অভিজাত নারী, যাঁর উত্তরাধিকারীরা নিজেদের তাঁর দিকে সম্পৃক্ত করে জয়নাবিউন নামে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করতেন। কারণ তিনি ছিলেন বিশেষ মতামতদানের অধিকারিণী ও সুভাষিণী। উমাইয়া শাসনামলে জর্দানের হামিমা অঞ্চলে নিজের পরিবারের সঙ্গে শৈশব অতিবাহিত করেছেন। অতঃপর আব্বাসীয় শাসনামলের সূচনা হয়। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর চাচাতো ভাই মুহাম্মদ বিন ইবরাহিমের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁর দীর্ঘ জীবদ্দশায় খলিফা সাফফাহ থেকে খলিফা মামুনুর রশীদ পর্যন্ত মোট সাতজন আব্বাসীয় খলিফার শাসনামল দেখেছেন। আব্বাসীয় খলিফারা তাঁকে খুবই সম্মান করতেন ও গুরুত্ব দিতেন। জয়নব বিনতে সুলাইমান ছিলেন বিদ্যানুরাগী। রাজমহলের ভোগ-বিলাসিতা তাঁকে হাদিসের জ্ঞানার্জন থেকে গাফেল রাখতে পারেনি। তিনি নিজের পিতা ও দাদা থেকে হাদিস বর্ণনা করেন। তাঁর থেকে তাঁর ছেলে আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মদ বিন ইবরাহিমুল ইমাম, আসেম বিন আলী, আহমদ বিন খলিল বিন মালেক, মুহাম্মদ বিন সালেহ কুরশি, আব্দুস সামাদ বিন মুসা আব্বাসী এবং খলিফা মামুনুর রশীদ হাদিস বর্ণনা করেন।