শারীরিক ব্যায়ামের মধ্যে দৌড়ানো সবচেয়ে সহজ ও বহুল ব্যবহৃত একটি ব্যায়াম। দৌড়ানো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। এটি শরীরকে সুস্থ রাখে এবং হৃদরোগ থেকে দূরে রাখে। নিয়মিত দৌড়ালে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকে, পেশি মজবুত হয়। কাজের চাপে জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করার সময় নেই যাঁদের, অথচ দ্রুত মেদ ঝরাতে চান, তাঁদের জন্য দৌড়ানো সবচেয়ে উপযোগী ব্যায়াম।
তবে অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না যে, দ্রুত গতিতে নাকি ধীরে, কিভাবে দৌড়ালে শরীরের জন্য ভাল। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ধীর গতিতে দৌড়ানোও শরীরের জন্য ভাল ব্যায়াম। বিশেষ করে যাদের বয়স বেশি, তাদের জন্য ধীর গতিতে দৌড়ানোই সবচেয়ে ভালো। জোরে দৌড়ালেও শরীরের ব্যায়াম হয়। তবে ধীর গতিতে দৌড়ালেও একই উপকার পাওয়া যায়।
১. যাঁদের বয়স বেশি এবং ফুসফুসের কর্মক্ষমতা কম, তাঁরা বেশি জোরে দৌড়াতে গেলেই দ্রুত হাঁপিয়ে ওঠেন। তার উপর হাড়ে, হাঁটুতে ব্যথা থাকলে জোরে দৌড়ালে আঘাতের সম্ভাবনা থাকে। এ ক্ষেত্রে ধীর গতিতে দৌড়লে এক দিকে যেমন দ্রুত হাঁপ ধরার ভয় নেই, তেমনই আঘাতের ঝুঁকিও কম থাকে।
২. ধীরে দৌড়ালেও হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। এতেও রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। তবে জোরে দৌড়লে হার্টের উপর বাড়তি চাপ পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে তা হবে না। বিশেষত একেবারে নতুন যাঁরা শরীরচর্চা শুরু করেছেন, তাঁরা জোরে না দৌড়ে শুরুটা ধীর গতিতেই করতে পারেন।
৩. ধীর গতিতে দৌড়ালে অনেকটা বেশি সময় ধরে দৌড়ানো যায়। এতে শরীরে একটানা ব্যায়াম হয়। শরীর আরও ভাল ভাবে অক্সিজেনকে কাজে লাগাতে পারে।
৪. ধীরে দৌড়ানো মস্তিষ্কের পক্ষেও ভাল ব্যায়াম। জোরে দৌড়ালে মস্তিষ্কের উপরেও চাপ পড়ে। কিন্তু গতি কম হলে সেই অসুবিধা হয় না।
সহজে দৌড়নো যায়, এবড়োখেবড়ো নয়, এমন জায়গাই ধীর গতিতে দৌড় শুরুর জন্য বেছে নিতে হবে। খোলা আকাশের নীচে দৌড়লে শরীর-মন দ্রুত চাঙ্গা হবে। যাঁরা জোরে দৌড়তে অভ্যস্ত, তাঁরাও সপ্তাহে ২-৩ দিন ধীর গতিতে দৌড় অভ্যাস করতে পারেন।