ঘূর্ণিঝড় রিমাল -এর প্রভাবে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। রবিবার সকাল থেকে পটুয়াখালীতে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার রাত ৯টার পর থেকে এখন পর্যন্ত ঝড়ের তীব্রতা বেড়েছে।এদিকে পায়রা বন্দরকে ১০ নম্বর মহা বিপৎসংকেত জারি করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সিপিপি প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া দুর্গম এলাকার এবং বেড়িবাঁধের বাইরের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, কলাপাড়ার ১৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং ২০টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সব আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে।দুর্যোগের পর ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সাত লাখ টাকা, ৩০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করেছে জেলা প্রশাসন। তিন হাজার ১৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক দুর্যোগের আগে, দুর্যোগের সময় ও দুর্যোগের পরে কাজ করবেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় রিমাল আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর দিকে এগিয়ে ঘনীভূত হতে পারে।ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬৪ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।