পবিত্র হজ পালন করতে চলতি বছর সৌদি আরবে যাওয়া মুসল্লিদের জন্য এক অনন্য সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে সৌদি আরব। দেশটির পরিবহনমন্ত্রী সালেহ আল জাসের বলেছেন, এবার হজযাত্রীদের পরিবহনে উড়ন্ত ট্যাক্সি ও ড্রোনের ব্যবহার করবেন তাঁরা। পবিত্র মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা বিদেশি হজযাত্রীদের প্রথম দলকে স্বাগত জানানোর পর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সালেহ আল জাসের এ কথা ঘোষণা করেন। সৌদি পরিবহনমন্ত্রী বলেন, হজযাত্রীদের সার্বিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অত্যাধুনিক পরিবহনব্যবস্থার আওতায় এবার উড়ন্ত ট্যাক্সির ব্যবহার করবেন তাঁরা। সামনের বছরগুলোতে হজযাত্রী পরিবহনে এ উড়ন্ত ট্যাক্সি সরবরাহ করার জন্য পরিবহন খাতের কয়েকটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতায় নেমেছে বলেও জানান আল জাসের। পরিবহন খাতে এসব প্রযুক্তি সম্পর্কে বোঝাপড়া ও হজ মৌসুমে এগুলোর ব্যবহারে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
পরিবহনমন্ত্রী আল জাসের বলেন, সৌদি আরব এমন আধুনিক পরিবহনসেবা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সম্মুখসারির দেশ হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ আধুনিক পরিবহনব্যবস্থাকে সবচেয়ে বেশি কাজে লাগানো হবে হজ মৌসুমে। হজ মৌসুমে উড়ন্ত ট্যাক্সির পরীক্ষামূলক ব্যবহারের পরিকল্পনার কথা গত বছর ঘোষণা করেছিলেন মন্ত্রী আল জাসের। জেদ্দায় কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও পবিত্র মক্কার হোটেলগুলোর মধ্যে হাজিদের যাতায়াতে ইতিপূর্বে উড়ন্ত ট্যাক্সি পরিচালনায় আগ্রহ দেখিয়েছিল সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস বা সৌদিয়া। এই সেবা দিতে বিমান পরিবহন সংস্থাটির লক্ষ্য আনুমানিক ১০০টি এমন আকাশযান সংগ্রহ করা।
ইতিমধ্যে, গত জানুয়ারিতে সৌদিয়া গ্রুপের পরিচালক (করপোরেট কমিউনিকেশন) ও মুখপাত্র আবদুল্লাহ আল শাহরানি আসন্ন হজ মৌসুমে পরিবহন খাতে এ নতুন মডেল প্রয়োগে তাঁদের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানান। জেদ্দা বিমানবন্দর এবং মক্কায় পবিত্র মসজিদুল হারাম ও অন্যান্য পবিত্র স্থানের কাছাকাছি আবাসিক হোটেলের মধ্যে হজযাত্রী পরিবহনে ১০০ লিলিয়াম জেট, জার্মান ইলেকট্রিক ভার্টিক্যাল টেক-অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং (ইভিটিওএল) কেনার চুক্তি করেছে সংস্থাটি। এসব লিলিয়াম আকাশযান পুরোপুরি বিদ্যুৎ-চালিত ও পরিবেশবান্ধব বলে উল্লেখ করেন সৌদিয়ার এ কর্মকর্তা।