NEWSTV24
মুসলমানদের ৩টি উত্তম বৈশিষ্ট্য
বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:৪১ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, যখন তোমাদের শাসক হবে তোমাদের ভালো লোকেরা, তোমাদের বিত্তবান ব্যক্তিরা হবে দানশীল এবং তোমাদের যাবতীয় কাজকর্ম সম্পাদিত হবে পারস্পরিক পরামর্শের ভিত্তিতে, তখন জমিনের পেট অপেক্ষা তার পিঠ হবে তোমাদের জন্য উত্তম। (সুনানে তিরমিজি)

এ হাদিস থেকে মুসলমানদের ৩টি উত্তম বৈশিষ্ট্যের কথা আমরা জানতে পারি।

এক. মুসলমানদের নেতা হবে উত্তম ও নেক ব্যক্তিরা

মুসলমানদের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় যে বৈশিষ্ট্যটি রাসুল (সা.) প্রথমে উল্লেখ করেছেন, সেটি হলো, মুসলমানদের নেতা ও শাসক হবে উত্তম ও নেক ব্যক্তিরা। মুসলমানদের উচিত এমন লোকদের নেতা বা শাসক বানানো, এমন লোকদের নেতৃত্ব গ্রহণ করা যারা নেক ও উত্তম।

দুই: মুসলমানদের সম্পদশালী ব্যক্তিরা হবে দানশীল

সম্পদশালী মুসলমানদের ওপর প্রতি বছর নির্দিষ্ট পরিমাণ দান করা ফরজ যা জাকাত হিসেবে পরিচিত। জাকাত ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। জাকাত আদায় না করা কবিরা গুনাহ। আল্লাহ তাআলা বলেন, হে মুমিনগণ, আমি তোমাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি তা হতে ব্যয় কর, সে দিন আসার পূর্বে, যে দিন থাকবে না কোন-বেচাকেনা, না কোন বন্ধুত্ব এবং না কোন সুপারিশ। আর কাফিররাই জালিম। (সুরা বাকারা: ২৫৪)

জাকাতের বাইরে নফল দানও অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। আল্লাহ বলেন, যারা তাদের সম্পদ ব্যয় করে রাতে ও দিনে, গোপনে ও প্রকাশ্যে। অতএব, তাদের জন্যই রয়েছে তাদের রবের নিকট তাদের প্রতিদান। আর তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না। (সুরা বাকারা: ২৭৪)

তিন. মুসলমানদের কাজকর্ম হবে পরামর্শের ভিত্তিতে

মুসলমানদের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো তাদের সিদ্ধান্তগুলো পরামর্শের ভিত্তিতে হবে। তাদের শাসক বা নেতারা একনায়ক বা স্বৈরাচারী হবেন না। কোরআনে মুসলমানদের উত্তম বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে গিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, যারা তাদের রবের নির্দেশ পালন করে, নামাজ কায়েম করে, পারস্পরিক পরামর্শের ভিত্তিতে কাজ করে এবং আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে। (সুরা শুরা: ৩৮)

আল্লাহ তার নবিকেও নির্দেশ দিয়েছেন শাসনসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সাহাবিদের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিতে। আল্লাহ বলেন, আর কাজে-কর্মে তাদের সাথে পরার্মশ কর। তারপর যখন সংকল্প করবে তখন আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করবে। নিশ্চয় আল্লাহ তাওয়াক্কুলকারীদেরকে ভালবাসেন। (সুরা আলে ইমরান: ১৫৯)