NEWSTV24

মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জিরো টলারেন্স, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কঠোর নজরদারি ও মাদকবিরোধী প্রচারের কারণে মাদক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে তিনি এ কথা জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন মন্ত্রীর কাছে জানতে চান ঢাকা মহানগরীতে প্রতিদিন ইয়াবার চাহিদা প্রায় ১৯ লাখ বিষয়টি সত্য কি না।জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিদিন ইয়াবার চাহিদা ১৯ লাখের বেশি- এটি সত্য নয়। এটি স্বার্থান্বেষী মহলের অপপ্রচার। দেশে মাদকের অবাধ প্রবেশের সুযোগ নেই। সীমান্তে বিজিবিসহ দেশের সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মাদকের প্রবেশ ও অপব্যবহার রোধে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। নিয়মিত অভিযান, মোবাইল কোর্ট ও টাস্কফোর্স অভিযান আগের তুলনায় বাড়ানো হয়েছে।

তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ সকল সংস্থা ২০২১ সালে ৯৩ হাজার ১৯০টি মামলা এবং ২০২২ সালে ১ লাখ ৩২১টি মামলা দায়ের করেছে। এছাড়া ২০২১ সালে ১ লাখ ২২ হাজার ১৫২ জন এবং ২০২২ সালে ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।২০২২ সালে সর্বমোট ৪ কোটি ৫৮ লাখ ৬৮ হাজার ৫৬৯ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর, পুলিশ, র;্যাব, বিজিবিসহ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের ব্যাপক কর্মতৎপরতার কারণে মাদক অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার বৃদ্ধি পেয়েছে।এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, বর্তমান সরকারের দিকনির্দেশনায় রাজধানী ঢাকার মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টিসহ ছিনতাইকারী চক্রের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধ বা নির্মূল করতে এবং ঢাকায় নিরাপদ পরিবেশন বজায় রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এতে মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টিসহ বিভিন্ন অপরাধী চক্রের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিষ্ক্রিয় বা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।