NEWSTV24
সর্বজনীন পেনশনের কিস্তি দিতে হবে ১০ বছর
বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ ১৭:১৪ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

সরকারি চাকরিজীবীদের বাইরে দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনতে জাতীয় সংসদে বহুল আলোচিত সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল-২০২৩ পাস হয়েছে। তবে কোনো ব্যক্তিকে মাসিক পেনশন সুবিধা পেতে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর ধারাবাহিকভাবে অন্তত ১০ বছর চাঁদা দিতে হবে। এ ছাড়া সরকারি চাকরিজীবীদের আলাদা গেজেট জারি করে এই পেনশন ব্যবস্থায় আনার সুযোগ বিলে রাখা হয়েছে।গতকাল মঙ্গলবার সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পরে এটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়।বিলটির বেশ কিছু অসংগতি তুলে ধরে বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা সমালোচনা করেন। তাঁরা বলেন, এটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এসব বিষয়ে তাঁরা সংশোধনের প্রস্তাব করলেও তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।বিলে বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি ধরে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় ১৮ বছর বা এর বেশি বয়স থেকে ৫০ বছর বয়সী সব নাগরিক অংশ নিতে পারবেন। বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদেরও পেনশন স্কিমের আওতায় রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে মাসিক পেনশন সুবিধা পেতে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর সংশ্নিষ্ট ব্যক্তিকে ধারাবাহিকভাবে অন্তত ১০ বছর কিস্তি দিতে হবে। কিস্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ওই ব্যক্তির যে বয়স হবে, সেই বয়স থেকে আজীবন পেনশন পাবেন। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরাও এতে অংশ নিতে পারবেন।কিস্তির হার কত হবে, তা এখনও নির্ধারণ হয়নি। এ আইনের আওতায় গঠিত সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষ এটি নির্ধারণ করবে। মাসিক বা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে কিস্তি দেওয়া যাবে। অগ্রিম কিস্তি দেওয়ারও সুযোগ থাকবে।

পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, চাঁদাদাতা ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দিলে মাসিক পেনশন পাবেন। কিস্তিদাতার বয়স ৬০ বছর হলে তহবিলে জমানো টাকা মুনাফাসহ পেনশন হিসেবে দেওয়া হবে। একজন পেনশনার আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন। সরকার গেজেট জারি করে বাধ্যতামূলক না করা পর্যন্ত এই পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ হবে ঐচ্ছিক।বিলে বলা হয়েছে, পেনশনে থাকাকালীন কোনো ব্যক্তি ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে মারা গেলে তাঁর নমিনি বাকি সময়ের জন্য (মূল পেনশনারের বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত) মাসিক পেনশন প্রাপ্য হবেন। চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার আগে মারা গেলে জমা টাকা মুনাফাসহ তাঁর নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে।পেনশন তহবিলে জমা দেওয়া টাকা কোনো পর্যায়ে এককালীন তোলার প্রয়োজন পড়লে চাঁদাদাতা আবেদন করলে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ টাকা ঋণ হিসেবে তুলতে পারবেন, যা পরে ফিসহ পরিশোধ করতে হবে। পেনশন থেকে পাওয়া অর্থ আয়করমুক্ত থাকবে। পেনশনের জন্য নির্ধারিত চাঁদা বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য করে কর রেয়াতের জন্য বিবেচিত হবে।