NEWSTV24
সরকার হটাতে যদি সুনামির দরকার হয়, তাহলে আমরা সে অবস্থার সৃষ্টি করব : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান
বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ ০২:৩২ পূর্বাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

সরকার হটাতে সুনামির দরকার হলে সে অবস্থার সৃষ্টি করব: আবদুল আউয়াল মিন্টু বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, বর্তমান সরকারকে হটাতে যদি সুনামির দরকার হয়, তাহলে তাঁরা সবাই মিলে সেই অবস্থা সৃষ্টি করবেন। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল আউয়াল মিন্টু এ কথা বলেন।

সরকারি দলের নেতা ও মন্ত্রীদের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে আবদুল আউয়াল বলেন, ‘তারা বলে, ধাক্কা দিলে নাকি পড়বে না। আমার প্রশ্ন, ধাক্কা কত বড় লাগবে? মাঝেমধ্যে যখন তুফান আসে, তার সঙ্গে কিন্তু সুনামিও আসে। যদি সুনামির দরকার হয়, তাহলে আমরা সবাই মিলে সে অবস্থার সৃষ্টি করব, যাতে করে এই লুটেরা বাহিনী কোনোক্রমেই এ দেশে আর ক্ষমতায় থাকতে না পারে।’ আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসার প্রসঙ্গ নিয়ে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘আগে লেগেছে ২১ বছর। এবার ফেলতে পারলে ৪১ বছরেও আর আসতে পারবে না।’

আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীদের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘মাঝেমধ্যে দেখবেন ২০৪১,২০৪১ সাল কয়। আরে ২০৪১ সাল তো আপনারা স্বপ্ন দেখতেছেন। আওয়ামী লীগের স্বপ্ন মানে দেশের জনগণের দুঃস্বপ্ন। অতএব দেশের জনগণকে বাঁচানোর জন্য, দেশকে রক্ষা করার জন্য ভবিষ্যতে আমরা এমন আন্দোলন গড়ে তুলব, যে আন্দোলনের ধাক্কায় এ সরকার ভেসে উড়ে যাবে।’

নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবির মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘আমরা মাত্র আন্দোলন শুরু করেছি। আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায় সামনের দিকে আসতেছে। কোনোভাবে এই সরকার থাকতে পারবে না। আর যদি এই লুটেরা বাহিনী থাকে, তাহলে আমাদের দেশ আর আমাদের থাকবে না। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর ইমানি দায়িত্ব এ সরকারকে উৎখাত করার জন্য যা যা করার তা করা।’ বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠাসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলন করছে সরকারবিরোধী বিভিন্ন দল ও জোট। এই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ ১২–দলীয় জোট বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এ সময় নেতা-কর্মীরা বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবি ও চট্টগ্রামে বিএনপির মিছিলে পুলিশের গুলি-হামলার প্রতিবাদে স্লোগান দেন।

ব্যবসায়ী নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, আজকে দেশের মানুষ বহু কষ্টে আছে। সরকার বলছে, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে। আসলে বিশ্বে এখন তেলের দাম কমেছে ২৫ শতাংশ। কিন্তু সরকার দাম কমাচ্ছে না। তারা বলে, ২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা আছে। কিন্তু বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত ১২ থেকে ১৪ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন কখনো হয়নি। এখন ২৪ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতা থাকলে প্রতিদিন লোডশেডিং হচ্ছে কেন? তার একটি কারণ, দুর্নীতি-লুটপাট। বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার। সমাবেশ পরিচালনায় ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা। সমাবেশে বক্তব্য দেন ১২–দলীয় জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিপির চেয়ারম্যান আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আবদুল করিম ও বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাসেম প্রমুখ।