NEWSTV24
শীতে-কুয়াশায় বিপর্যস্ত জনজীবন, যান চলাচল
বুধবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৩ ১৬:১৬ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

পৌষের মাঝামাঝি এসে সারাদেশে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। কুয়াশায় ঢাকা থাকছে সকালের সূর্য। ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত জনজীবন। বিঘ্নিত হচ্ছে বিমান, ট্রেন, লঞ্চ, ফেরি ও গাড়ি চলাচল। এক কথায় পুরো যোগাযোগব্যবস্থা বিপর্যস্ত। কনকনে শীতে জবুথবু উত্তরের মানুষ। কাজের সন্ধানে বেরিয়ে তীব্র ঠাণ্ডা আর ঘন কুয়াশার কারণে বিপাকে পড়ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। শীতের তীব্রতা বেড়েছে রাজধানীতেও। ভোগান্তি বেড়েছে বৃদ্ধ ও শিশুদের।আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, মঙ্গলবার দেশের অধিকাংশ এলাকা কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল। রাজশাহী ও খুলনা অঞ্চলে দিনের তাপমাত্র ৭ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলিসিয়াসে নেমেছিল। এমন অবস্থা আরও তিন থেকে চার দিন থাকতে পারে।ঘন কুয়াশা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বেশি কুয়াশ ছিল রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনায়। সর্বনিম্ন দৃষ্টিসীমা ছিল নেত্রকোনা ও ফরিদপুরে, ১০০ মিটার।এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল সকাল থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট উড্ডয়ন ও অবতরণ বন্ধ ছিল। আন্তর্জাতিক দুটি ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করতে না পেরে চট্টগ্রামে চলে যায়। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম বলেন, রানওয়ের ভিজিবিলিটি (দৃশ্যমানতা) কম থাকায় ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা ৫মিনিট পর্যন্ত ঢাকা বিমানবন্দরে কোনো ফ্লাইট ওঠানামা করেনি।

ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় ছয় ঘণ্টা রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল ভোর পৌনে ৪টা থেকে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। সকাল পৌনে ১০টার দিকে কুয়াশা কেটে গেলে চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। দীর্ঘ সময় ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাটে আটকে পড়ে কয়েকশ যানবাহন। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী ও চালকরা।বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সালাহ উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন উত্তরাঞ্চল। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত একটানা কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সন্ধ্যার পরেই হাটবাজার ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। পঞ্চগড়ে দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা মেলেনি। তেঁতুলিয়ায় গতকাল সকাল ৯টায় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলেও সূর্য না ওঠায় শীতের দাপট কমেনি। রাস্তাঘাটে লোকজন ও যানবাহন চলাচল ছিল কম। শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে মানুষ। যানবাহনগুলো চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।এ ছাড়া গত কয়েক দিন ধরে উত্তরের জেলাগুলোতে তীব্র শীতের প্রভাব পড়েছে জনস্বাস্থ্যের ওপর। প্রতিদিনই চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে ভিড় করছেন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষ। তাদের মধ্যে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু রোগী বেশি।এদিকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহের মতো না হলেও ঢাকায় বইছে হিমেল হাওয়া। মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানীতে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। দিনের তাপমাত্রা হুট করে ৫ ডিগ্রির মতো কমে যাওয়ায় ঢাকাবাসী টের পাচ্ছে শীতের তীব্রতা।