NEWSTV24
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে যেগুলো মানতে হবে
সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২ ১৪:৩৯ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যার ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি এবং ডায়াবেটিসজনিত স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা এবং এতে মৃত্যু ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ার কারণে ২০১২ আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) ডায়াবেটিসকে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই বেপরোয়াভাবে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যদিও কিছু উন্নত দেশ এ বৃদ্ধির হারকে লাগাম টানতে পেরেছে।আফ্রিকার দেশগুলোর পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতেই সবচেয়ে বেশি হারে ডায়াবেটিসের রোগী বাড়ছে। এসব দেশেই সবচেয়ে বেশি ডায়াবেটিসের রোগীর বসবাস। বাংলাদেশের চিত্র মোটেও সুখকর নয়। আইডিএফের ২০২১ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী, পাকিস্তানের পর বাংলাদেশেই ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।বাংলাদেশের ডায়াবেটিস রোগীর শতকরা ৯৭ ভাগ টাইপ-২ ধরনের। এ ধরনের ডায়াবেটিস প্রতিরোধযোগ্য এবং পদক্ষেপ নিলে এ রোগকে অনেক বিলম্বিত করা যায়। এজন্য বড় কোনো আয়োজনের প্রয়োজন নেই। সহজ কিছু টিপস রয়েছে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য।

এজন্য প্রতি বেলার খাবার খেতে হবে সময়মতো। কী পরিমাণ খাওয়া হচ্ছে, এও গুরুত্বপূর্ণ। বেশি খাবার না খেয়ে কম করে খাওয়া যায়। একই সঙ্গে আঁশযুক্ত গোটা শস্য খাবার প্রবণতা বাড়াতে হবে। ময়দার রুটি আর মিলে ছাঁটা চালের বদলে লাল আটার রুটি বা ঢেঁকি ছাঁটা চালের ভাত খেলে ভালো। গোল আলু যতটা পারা যায় কম খেতে হবে। আলু খেতে হলে অবশ্যই তা ভাত বা রুটি ইত্যাদির পরিবর্তে হবে, সবজি বা শাকের বিকল্প হিসেবে নয়।অতিরিক্ত লবণ ও চর্বিজাতীয় খাবার পরিহার করুন। প্রতিদিন কিছু পরিমাণ শাকসবজি ও ফলমূল খান। ফাস্টফুড এবং কোল্ড ড্রিংকস পরিহার করুন। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ আর্সেনিকমুক্ত পানি পান করুন।আরেকটি বিষয়, বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে পরিবেশিত অস্বাস্থ্যকর খাদ্য বর্জন করাই নিরাপদ। নিয়মিত শারীরিক শ্রম সম্পাদন করতে হবে; হাঁটা উত্তম উদাহরণ হতে পারে। একটানা অধিক সময় বসে কাজ করবেন না। কম্পিউটার ব্যবহার ও কাজের ফাঁকে উঠে দাঁড়ান। একটু পায়চারি করুন ও গেম খেলা কমিয়ে দিন। টিভি দেখতে দেখতে চিপস খাবেন না। বেশি ক্ষুধার্ত হলে শসা খান।

ধূমপান একেবারেই বর্জন করুন, কেন না ধূমপান ডায়াবেটিসের একটি কারণ। নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করুন। ডায়াবেটিসের রোগীরা ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞের (এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট) কাছে চিকিৎসা নিন। ওষুধ, ব্যায়াম, খাদ্য গ্রহণ তথা সার্বিক জীবনযাপন-সংক্রান্ত তার সুনির্দিষ্ট এবং বিজ্ঞানসম্মত উপদেশ (যা শুধু আপনার জন্য প্রযোজ্য) মেনে চলুন।পাশাপাশি রক্তের গ্লুকোজ, লিপিড, রক্তচাপ ও দৈহিক ওজন অবশ্যই লক্ষ্যমাত্রায় রাখতে হবে। মনে রাখা ভালো, ডায়াবেটিস চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ করাই বাঞ্ছনীয়।