পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পরীক্ষামূলক টিকাদান কার্যক্রম আগামী ১১ আগস্ট থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, শিশুদের জন্য আমরা ১৫ লাখ টিকা পেয়েছি। সব কিছু ঠিক থাকলে ১১ আগস্ট থেকে প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে টিকা দেওয়া হবে। পরে ২৬ আগস্ট থেকে পুরোদমে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা হবে। দেশে এই বয়সী শিশুদের সংখ্যা ৪ কোটি ৪০ লাখ।রোববার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর নিপসম অডিটেরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
শিশুদের দেওয়ার জন্য ৪ কোটি ১০ লাখ টিকার নিশ্চয়তা পেয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। শিশুদের দুই ডোজ করে টিকা দেওয়া হবে। এর জন্য টিকার প্রয়োজন হবে ৮ কোটি ৮০ লাখ ডোজ। কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির আওতায় বাংলাদেশ এই টিকা পেয়েছে।জাহিদ মালেক বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে এখনো প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা পরে আর পাওয়া যাবে না। দ্বিতীয় ডোজের জন্য আমাদের কাছে যে পরিমাণ টিকা আছে, সেগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। যারা এখনো টিকা নেননি, তারা দ্রুত টিকা নেন।স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে সফলভাবে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। ফলে আমরা করোনার সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। কিন্তু এখনো অনেকে দ্বিতীয় ডোজ নেননি। তাদেরকে বলতে চাই, দ্বিতীয় ডোজ না নিলে কিন্তু বুস্টার ডোজও পাবেন না।