NEWSTV24
আইএমএফ থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার
বুধবার, ২৯ জুন ২০২২ ১৫:৪৪ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার বা ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। সংকটে পড়া বৈদেশিক লেনদেন পরিস্থিতির উন্নতি, বৈদেশিক মুদ্রার মজুত চাঙ্গা করা এবং মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা আনতে সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য আজ বুধবার সংস্থাটির বাংলাদেশে আবাসিক প্রতিনিধি জয়েন্দু দের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক করবেন অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শরিফা খান।অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার আইএমএফ থেকে কমপক্ষে তিন বছর মেয়াদে একটি বড় ঋণ অনুমোদন করিয়ে রাখতে চাচ্ছে। যাতে সরকারের যখন প্রয়োজন হবে তখন অর্থপ্রাপ্তি নিশ্চিত হয় এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে চাপ কমে আসে। আইএমএফের একাধিক ঋণ কর্মসূচি থেকে এই ঋণ নেওয়া হবে।অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত পরিস্থিতি কমে এসেছে। টাকার মান নেমেছে তলানিতে। আমদানি ব্যয় বাড়ছে। কমছে রেমিট্যান্স। রপ্তানি আয় বাড়লেও লেনদেনের ভারসাম্য নেতিবাচক। আবার দু-এক বছরের মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পদ্মা রেল লিঙ্ক সেতু, মেট্রোরেল, মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রকল্পের ঋণের অর্থ ফেরত দেওয়ার সময় আসছে। এ রকম অবস্থায় সরকার বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ নিয়ে নিরাপদ রিজার্ভ নিশ্চিত করতে চাচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের লেনদেনের ভারসাম্য বিষয়ক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য ঘাটতিতে রয়েছে দেশ। চলতি অর্থবছরের এপ্রিল শেষে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৫৭ কোটি মার্কিন ডলার। চলতি হিসাবের ভারসাম্যেও ব্যাপক ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। এপ্রিল শেষে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ১ হাজার ৫৩২ কোটি ডলারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার রেকর্ড দরপতন হয়েছে।গত সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ছিল ৪১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। গত বছর আগস্টে এ রিজার্ভ ৪৮ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলারে উঠেছিল। বাড়তি আমদানি ব্যয়, প্রবাসীদের রেমিট্যান্স কমে আসার কারণে রপ্তানি বাড়লেও মোট মজুত কমছে। আগামী সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) পরিশোধ দিতে হবে। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি দিতে হবে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসবে।