NEWSTV24
বাড়ছে আমদানি পণ্যের দাম, সঙ্গে দেশি পণ্যেরও
সোমবার, ১৬ মে ২০২২ ১৬:০৮ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

আমদানি করা পণ্যের পাশাপাশি দেশে উৎপাদিত পণ্যের দামও বাড়ছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আগে দেশের বাজারে নিত্যপণ্যের যে দাম ছিল, তার মধ্যে বেশ কিছু পণ্যের দাম এখন কেজিতে ১০ টাকা থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।নিত্যপণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ভোজ্য তেল, আটা, ময়দা, ডাল, রসুনসহ বেশ কিছু আমদানীকৃত পণ্যের দাম। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর সরবরাহব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় এসব পণ্যের দাম বেড়ে গেছে।আবার বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, কয়েকটি যৌক্তিক কারণ বাদ দিলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বৈশ্বিক পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে চলেছেন। এ অবস্থায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ও টিসিবির বাজারদরের তথ্যানুযায়ী, গতকাল রবিবার খোলা ও প্যাকেট আটা কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকায়। খোলা আটার দাম বাড়লেও প্যাকেটজাত আটার দাম বাড়েনি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাড়তি দামের প্যাকেটজাত আটা এখনো বাজারে আসেনি। এর আগে গত ১ মে খোলা আটা প্রতি কেজি ৪০ ও প্যাকেটজাত আটা ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। ইউক্রেন যুদ্ধের আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি খোলা আটা ৩২ও প্যাকেট আটা ৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।গতকাল খোলা ময়দা ৬৫ টাকা ও প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হয়েছে। গত ১ মে খোলা ময়দার কেজি ৫৫ ও প্যাকেট ময়দার কেজি ৬০ টাকা ছিল। যুদ্ধের আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি খোলা ময়দা ৪৮ টাকা ও প্যাকেট ময়দা ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

রাজধানীর জোয়ার সাহারা বাজারের ভাই ভাই স্টোরের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম  বলেন, আমি পাইকারি দোকান থেকে গত সপ্তাহে আটার কেজির বস্তা ১৭৫০ টাকায় এবং ময়দার বস্তা ৩০৫০ টাকায় কিনে এনেছিলাম। আজ (গতকাল) আমাকে আটা ও ময়দার বস্তাপ্রতি আরো ৩০০ টাকা বেশি দিয়ে কিনে আনতে হয়েছে।আমদানি করা মোটা মসুর ডাল গতকাল খুচরায় ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। ১ মে যা ছিল ১০০ টাকা। আর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এই ডালের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৯৫ টাকা।

কারওয়ান বাজারের মেসার্স নূরজাহান স্টোরের ব্যবসায়ী মো. তারেক বলেন, আটা-ময়দা ও মসুর ডালের দাম আবার নতুন করে বেড়েছে। গত সপ্তাহে খোলা আটা ৪০ টাকা কেজি ছিল, এখন কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে ৪৫ টাকা হয়েছে। ময়দা ৬০ টাকা কেজি ছিল, কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে ৬৫ টাকা হয়েছে। মসুর ডাল কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে দেশি ১৪০ এবং মোটা ডাল ১১০ টাকা হয়েছে। তিনি বলেন, ভারত থেকে গম বন্ধের ঘোষণায় বস্তাপ্রতি আটা-ময়দার দাম প্রায় ২০০ টাকা বেড়ে গেছে।দাম বেড়েছে সয়াবিন তেলেরও। গতকাল বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা লিটারে বিক্রি হয়েছে। গত ১ মে এই তেল লিটারপ্রতি বিক্রি হয় ১৬০ টাকায়। আর যুদ্ধের আগে ২৩ ফেব্রুয়ারিতে এর দর ছিল ১৬৮ টাকা লিটার।