NEWSTV24
জীবনরক্ষায় লকডাউন, জীবিকারক্ষায় শিথিলতা
শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১ ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

গত মার্চের শেষ দিকে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দেয়ায় সংক্রমণ রোধে ৫ এপ্রিল থেকে দেশে লকডাউন (বিধিনিষেধ) চলছে। কিন্তু এ পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। জীবন-জীবিকা তাই এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। তবে ভারতীয় প্রকৃতির (ভ্যারিয়েন্ট) করোনাভাইরাসের বাংলাদেশে প্রবেশ রোধে কিছুদিন থেকে সীমান্ত এলাকায় বিশেষভাবে লকডাউন দেয়া হচ্ছে।চলমান সার্বিক লকডাউনের">সার্বিক লকডাউনের মেয়াদ আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। অনেকেই বলছেন, সীমান্ত এলাকা ছাড়া লকডাউন মূলত কাগজে-কলমেই।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোটামুটি সবকিছু খুলে দিয়ে বিধিনিষেধ সেভাবে কার্যকর না হলেও কিছু সুবিধা তো আছেই। মানুষের ফ্রি স্টাইলে চলাচলের ক্ষেত্রে এটা একটি প্রতিবন্ধকতা। শুধু ঘোষণা দিলেই হবে না, সব ধরনের গণসমাবেশ রোধে সরকারকে কঠোর তদারকি করতে হবে, তবেই বিধিনিষেধের সুফল পাওয়া যাবে।কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লা জাগো নিউজকে বলেন,সীমান্ত এলাকা ছাড়া দেশের বাকি অংশে লকডাউন না বলে বিধিনিষেধ বলা উচিত।

এর আওতায় ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিকসহ সব ধরনের সমাবেশ বন্ধ রাখতে হবে। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন নিশ্চিত করতে হবে। অফিস-আদালতেও উপস্থিতি অর্ধেক থাকবে। হোটেল-রেস্তারাঁয় স্বাস্থ্যবিধি মানা নিশ্চিতে বিধিনিষেধ বহাল রাখা যেতে পারে। লকডাউন নামটি বলার প্রয়োজন নেই।তিনি বলেন যেমনই হোক, বিধিনিষেধ থাকলে তো সুবিধা আছেই। এটি থাকতে পারে। বিধিনিষেধ থাকলে একটা প্রেসার থাকে। সীমান্ত এলাকায় যেটা, সেটা হচ্ছে লকডাউন। এর মাধ্যমে মানুষকে ঘরে আটকে রাখা, এভাবে লকডাউন যদি দুই সপ্তাহ করা যায় তবে একটা ভালো চিত্র ফুটে উঠবে। তা না হলে সংক্রমণ ছড়াতেই থাকবে।সীমান্ত এলাকায় লকডাউন দিয়ে প্রশাসনিক নজরদারি বাড়াতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, জনসম্পৃক্ততা খুব জরুরি, এটা আমরা বারবার বলেছি। লকডাউন পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের জনসম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে হবে। জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত না বলবে, চল আমাদের এলাকাটা আমরাই রক্ষা করি, ততক্ষণ পর্যন্ত কার্যকর কিছু হবে না।>