NEWSTV24
রাজধানীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দুই এলাকা
রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১ ১৪:৪৪ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

দেশে হু হু করে বেড়েই চলেছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আর মৃতের সংখ্যা। রাজধানীতে করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দুই এলাকা হচ্ছে রূপনগর থানা ও আদাবর থানা। এই দুই থানা এলাকায় শনাক্তের হার যথাক্রমে ৪৬ ও ৪৪ শতাংশ।শনিবার সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট- আইইডিসিআর করোনার সংক্রমণের হার বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানিয়েছে।আইইডিসিআর জানিয়েছে, দুই সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে (ডিএসসিসি) শনাক্তের হার ৩৬ শতাংশ এবং উত্তর সিটি কর্পোরেশনে (ডিএনসিসি) ২৯ শতাংশ।এছাড়া ঢাকার আরও ১৭টি থানায় করোনা শনাক্তের হার ৩০ শতাংশের উপর অবস্থান করছে। ২৩ টি থানা ২০ শতাংশের উর্ধ্বে এবং ৭টি থানায় ১১ শতাংশের উর্ধ্বে শনাক্তের হার বিদ্যমান।পরীক্ষা বিবেচনায় ৩১ শতাংশের ওপরে শনাক্তের হার রূপনগর, আদাবর, শাহ্ আলী, রামপুরা, তুরাগ, মিরপুর, কলাবাগান, তেজগাঁও, মোহাম্মদপুর, মুগদা, গেন্ডারিয়া, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, নিউমার্কেট, চকবাজার, সবুজবাগ, মতিঝিল, দারুসসালাম, খিলগাঁও থানা এলাকায়।শনাক্তের হার ২১ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে রয়েছে শাহবাগ, বংশাল, লালবাগ, শাহজাহানপুর, রমনা, কামরাঙ্গীরচর, শ্যামপুর, বাসাবো, বনানী, উত্তরখান, শেরেবাংলা নগর, সূত্রাপুর, যাত্রাবাড়ী, পল্লবী, কাফরুল, ডেমরা, ওয়ারী, ভাটারা, দক্ষিণখান, খিলক্ষেত, কদমতলী, উত্তরা পূর্ব থানা ও পল্টন থানা এলাকায়।

আর শনাক্তের হার ১১ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে রয়েছে তেজগাঁও ডেভেলপমেন্ট ও শিল্পাঞ্চল থানা, উত্তরা পশ্চিম থানা, ভাসানটেক, গুলশান, ক্যান্টনমেন্ট থানা ও বিমানবন্দর থানা এলাকায়।আইইডিসিআর-এর সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও উপদেষ্টা ড. মোশতাক হোসেন জানান, কঠোর লকডাউন ছাড়া পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনা কিছুতেই সম্ভব নয়। ১৪ এপ্রিল থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে সর্বাত্মক লকডাউন পালিত হলে সংক্রমণের হার কমবে বলে আশা করছি।এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে বাংলাদেশে ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে; মহামারি শুরুর পর থেকে এ যাবতকালের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। গত এক বছরেরও বেশি সময়জুড়ে প্রাণঘাতি এই ভাইরাসটি কেড়ে নিয়েছে ৯ হাজার ৬৬১ জনের জীবন।প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে আরও ৫ হাজার ৩৪৩ জন। মহামারি শুরুর পর থেকে সব মিলিয়ে এই শনাক্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৯৩৭ জনে। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত কয়েক দিন ধরেই দিনে ৬ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়ে আসছিল। তবে শনিবার এসে তা কিছুটা কমেছে।