চুয়াডাঙ্গায় হিট অ্যালার্ট জারিআমিরাতে বৃষ্টিতে গাড়িতে আটকা পড়ে মারা গেলেন দুই জন সেরেলাক-নিডোয় অতিরিক্ত চিনি, পরীক্ষা করবে বিএফএসএজাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ আটকে দিল যুক্তরাষ্ট্রভারতে লোকসভা নির্বাচনের ভোট শুরু
No icon

ইসি গঠন আইন ‘নতুন মোড়কে পুরনো জিনিস’: জাতীয় পার্টি

সংসদে পাস হওয়া নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন আইনকে নতুন মোড়কে পুরনো জিনিস বলে আখ্যা দিয়েছে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা)। শনিবার রাজধানীর বনানী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মলেনে দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, আইনের মাধ্যমে গঠিত ইসির অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে কী না তা নিয়ে সংশয় রয়েই যাচ্ছে।নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির ডাকা সংলাপে প্রথম দল হিসেবে অংশ নিয়ে আইন করার প্রস্তাব করেছিল জাতীয় পার্টি। বিরোধী দলের উপনেকা জিএম কাদের বলেন, সংসদে পাস হওয়া আইনে, সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত ব্যক্তিদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিধান রয়েছে। সংবিধানের ৪৮ ধারা অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে কাজ করতে হয়। যার অর্থ দাড়াচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। দলীয় বিবেচনায় যে কোনো ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে নিয়োগের সুযোগ প্রধানমন্ত্রীর থাকছে না।আইন না থাকলেও আগের দুইবার সার্চ কমিটির মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। নতুন আইনে একই প্রক্রিয়ার বিধান রয়েছে। একে নতুন মোড়কে পুরনো জিনিস আখ্যা দিয়ে জিএম কাদের বলেছেন, সার্চ কমিটির কার্যক্রম সম্পর্কে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়নি আইনে। সার্চ কমিটি প্রধান ও অন্যান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যাদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করবে, তা আগেই প্রকাশ করা উচিত। যাতে কাদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠিত হচ্ছে, তা সম্পর্কে জনমত তৈরি হতে পারে।

আইনে মাত্র ১৫ কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছে সার্চ কমিটিকে। একে যথেষ্ট মনে করেন না জিএম কাদের। তিনি বলেছেন, সার্চ কমিটির প্রস্তাব করা তালিকা প্রকাশের বিধান না থাকায়, শেষ পর্যন্ত সেই তালিকার সুপারিশ অনুযায়ী কমিশন গঠন করা হবে কি না সেই বিষয়েও সংশয় থাকে।জাপা চেয়ারম্যান বলেন, সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য। আইনে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতার বিষয়ে উল্লেখ নেই। নির্বাচনী কাজে কোনো কর্মচারী নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ পালন না করলে, সহায়তা না করলে, কী শাস্তি হবে, তাই আইনে থাকা দরকার।তিনি বলেন, আইন হলেও নির্বাচন কমিশন গঠন ও তাদের দায়িত্ব পালনে আগের তুলনায় উন্নতি হবে বলে মনে হয় না। আগের মতোই পরোক্ষভাবে প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে থাকবে।জাপা চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন কমিশন কাদের নিয়ে গঠিত হচ্ছে, তা পর্যবেক্ষণ করবে তার দল। তারপর এ বিষয়ে দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত হবে।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি এমপি, ফখরুল ইমাম এমপি প্রমুখ।