প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেনগরমের তীব্রতা কমাতে কী কাজ করেছেন, জানালেন হিট অফিসারবিনা ভোটে নির্বাচিত ৩৩ প্রার্থীসব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়েতাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির বেশি যেসব অঞ্চলে
No icon

পাঁচ জটিল সমস্যা চিহ্নিত খালেদা জিয়ার শরীরে

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল হলেও পাঁচটি জটিল সমস্যা চিহ্নিত করেছে মেডিকেল বোর্ড। তার লিভার, কিডনি ও হৃদযন্ত্রের সমস্যা বেশ প্রকট বলে মত দিয়েছেন বোর্ডের সদস্যরা। এসব জটিল সমস্যার আগাম উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর আরও উন্নততর ও বহুমুখী স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার মতো হাসপাতালে স্থানান্তরের জোর সুপারিশ করেছে মেডিকেল বোর্ড। প্রতিবেদনে কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করলেও এ ধরনের উন্নত চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সর্বশেষ গত সপ্তাহে প্রণীত পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনটি সংশ্নিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্রের মাধ্যমে সমকাল পেয়েছে।

প্রতিবেদনে ক্রনিক লিভার সমস্যা থেকে উত্তরণে প্রতিস্থাপনের আগাম পরিকল্পনা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ক্রনিক কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ায় তিনি প্রস্রাব ধরে রাখতে পারছেন না এবং প্রস্রাবের সঙ্গে প্রোটিন বেরিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, হৃদযন্ত্রের স্পন্দন অনিয়মিত হওয়ায় অস্বাভাবিক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন তিনি। কিডনি এবং লিভার রোগের কারণে বাতজনিত জয়েন্টে তিনি বেশ সমস্যায় আক্রান্ত বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার ক্যান্সার মার্কার উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে এবং তার পারিবারে ক্যান্সারের ইতিহাসও রয়েছে উল্লেখ করে এ সমস্যাটি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় আনা উচিত বলে মনে করে মেডিকেল বোর্ড।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্ত হলেও পুরোনো কিছু রোগের কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখনও ঝুঁকিমুক্ত নন। তার মেডিকেল বোর্ডের সর্বশেষ বক্তব্য হচ্ছে, খালেদা জিয়ার ফান্ডামেন্টাল কিছু সমস্যা রয়েছে, যেগুলো উদ্বেগজনক। তার হৃদযন্ত্রে সমস্যা, কিডনির সমস্যা আছে। এ দুটি সমস্যা নিয়ে মেডিকেল বোর্ড উদ্বিগ্ন। বোর্ডের সদস্যরা মনে করছেন, বাংলাদেশে যে হাসপাতালগুলো আছে, অ্যাডভান্স সেন্টারগুলো আছে, সেগুলো যথেষ্ট নয় তার ট্রিটমেন্টের জন্য। বিশেষজ্ঞরা বার বার বলছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট দরকার, তার অসুখগুলো নিয়ে অ্যাডভান্স সেন্টারে যাওয়া জরুরি।