ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় আক্রমণ বাড়াচ্ছে রাশিয়া। বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী বাহিনী হওয়া সত্ত্বেও প্রতি ইঞ্চি ভূমি দখলে তাদের পড়তে হচ্ছে প্রতিরোধের মুখে। এ প্রতিরোধে ইউক্রেনীয়দের সবচেয়ে বেশি সহায়তা করছে জ্যাভলিন। এ কারণে এটি তাদের প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।ইউরোনিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, লড়াই শুরুর পর রকেট লঞ্চারের মতো দেখতে যুক্তরাষ্ট্রের জ্যাভলিন অ্যান্টিট্যাঙ্ক মিসাইল নামের অস্ত্রটি আলোচিত হচ্ছে। এর বেশ কিছু ছবি-ভিডিও ভার্চুয়াল জগতে ছড়িয়ে পড়েছে। এগুলোর মধ্যে বিশেষ করে বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে জ্যাভলিন হাতে এক নারীর ছবি। এর নাম দেওয়া হয়েছে সেন্ট জ্যাভলিন। এই অস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেনীয়রা সাফল্য পাওয়ায় এখন প্রতিরোধের সব কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে জ্যাভলিনকে।জ্যাভলিন ওজনে কম হওয়ায় সহজে সৈনিকরা যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন। ৫০ পাউন্ড ওজনের এ অস্ত্র ছোড়ার জন্য কোনো লঞ্চারের প্রয়োজন নেই; সহজে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা যায়। এ অস্ত্র ২০১৮ সালে প্রথম হাতে পায় ইউক্রেন। তবে ২৪ ফেব্রুয়ারি হামলা শুরুর পর কিয়েভকে প্রচুর পরিমাণে জ্যাভলিন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও এস্তোনিয়া।প্রতিরোধের প্রতীক ছাড়াও সেন্ট জ্যাভলিন নামে তৈরি হয়েছে ওয়েবসাইট। যুদ্ধে সহায়তার জন্যই এর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে।