গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশের পর থেকেই ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর থেকে টানা নয়দিন ধরে দুই দেশের মধ্যে চলছে রক্তক্ষয়ী সংঘাত। এই সঙ্কট নিরসনে দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছেন সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমান।বৃস্পতিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে পৃথক ফোনালাপে এই প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। এসময় রাশিয়া ও ইউক্রেনের নেতাদের উদ্দেশে সৌদি যুবরাজ জানান, সকল পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা চালাতে প্রস্তুত রয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে চলমান বিরোধ মেটাতে রাজনৈতিক সমাধানের পক্ষে সমর্থন প্রকাশ করেন তিনি।সালমান বলেন, তার দেশ সেই সব চেষ্টায় সমর্থন করে, যাতে রাজনৈতিক সুরাহা আসে, যাতে যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যায়, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা আসে। এক্ষেত্রে সব পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে সৌদি আরব প্রস্তুত রয়েছে।
এছাড়া ইউক্রেন পরিস্থিতিতে জ্বালানি উদ্বেগ দূর করার ব্যাপারেও কথা বলেন সালমান। ওপেক প্লাস চুক্তির প্রতি সৌদি আরবের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। ১০টি বড়ো অপরিশোধিত তেল উৎপাদনকারী দেশের সংগঠন ওপেক। সেখানে রাশিয়ার প্রধান অংশীদার সৌদি আরব।ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওপেক প্লাস সদস্যরা তাদের অঙ্গীকার পূর্ণ করবে। বিশ্ব তেলের বাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে অবদান রাখবে। এই শর্তের মধ্যে থেকে রাশিয়া ও সৌদি আরব অব্যাহত সমন্বয় করে যাবে।এদিকে ইউক্রেনীয় পর্যটক এবং বাসিন্দাদের ভিসার মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জেলেনস্কিকে আশ্বস্ত করেন সৌদি যুবরাজ।