ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রআগামীকাল ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণশপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতিহিট অ্যালার্ট আরও তিন দিন বাড়তে পারেরাঙামাটিতে সড়ক ও নৌপথে অবরোধ চলছে
No icon

ভোটে খরচ বাড়বে ১১ গুণ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে খরচ হয় ৮২২ কোটি টাকা। ওই নির্বাচনে ছয়টি আসনে ইভিএম এবং বাকি ২৯৪ আসনে ভোট হয় ব্যালটে। ছয়টি আসনে সাড়ে চার হাজার ইভিএমের পেছনে খরচ হয় ৯০ কোটি টাকা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কয়েকগুণ বেশি অর্থ খরচ করতে হবে। কেননা অর্ধেক আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করতে ইতোমধ্যে ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে বাকি ১৫০ আসনের ব্যালটে ভোটগ্রহণসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার খরচ রয়েছে। অর্ধেক আসনে ইভিএম ও অর্ধেক আসনে ব্যালটে ভোটগ্রহণ করলে মোট সম্ভাব্য ব্যয় দাঁড়াবে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা, যা বিগত সংসদ নির্বাচনের প্রায় ১১ গুণ বেশি।প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ইভিএম কেনার সিদ্ধান্তকে গরিবের ঘোড়া রোগ বলে আখ্যা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু। গতকাল দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধিতার পরও ইভিএম কেনার সিদ্ধান্ত প্রমাণ করেনির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয়। অবিলম্বে ইভিএম কেনার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

ইভিএম কেনার সিদ্ধান্তের বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন,এটি একটি পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্ত বলে আমরা মনে করছি। এ সিদ্ধান্তের রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে সংশ্লিষ্ট  অংশীজনদের মতামত উপেক্ষা করে এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনকে ব্যাপকভাবে আস্থার সংকটের মুখামুখি করছে। এ ছাড়া সরকার যে যৌক্তিক কারণে ব্যয় সংকোচন নীতি অবলম্বন করেছে, সেই নীতির পুরোপুরি পরিপন্থী সিদ্ধান্ত এটি। এ সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক, কারিগরি ও আর্থিকসহ সম্ভাব্য সব মাপকাঠিতেই বিতর্কিত। তাই কমিশনের ওপর আস্থার সংকট আরও ঘনীভূত করবে।সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এটি অবিশ্বাস্য রকমের সিদ্ধান্ত। দেশের অর্থনৈতিক সংকট যখন চরমে, সেই সময়ে এই বাজেটের কোনো মানে নেই। এটি সরকারের দায়বদ্ধতাহীনতার বহির্প্রকাশ।ইসি কর্মকর্তারা জানান, নতুন ইভিএম প্রকল্পের খরচ সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত করলে বিগত জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনে কয়েকগুণ বেশি খরচ হবে।