চুয়াডাঙ্গায় হিট অ্যালার্ট জারিআমিরাতে বৃষ্টিতে গাড়িতে আটকা পড়ে মারা গেলেন দুই জন সেরেলাক-নিডোয় অতিরিক্ত চিনি, পরীক্ষা করবে বিএফএসএজাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ আটকে দিল যুক্তরাষ্ট্রভারতে লোকসভা নির্বাচনের ভোট শুরু
No icon

প্রযুক্তিনির্ভর নির্বাচনের পরিকল্পনা ইসির

ইভিএমে ভোটগ্রহণ ও নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর বাদানুবাদের মধ্যেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী কর্মপরিকল্পনা (রোডম্যাপ) চূড়ান্ত করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোডম্যাপে এখন থেকে সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত কোন মাসে কী করা হবে, তা তুলে ধরা হবে। এবারের নির্বাচনে অধিকতর প্রযুক্তির ব্যবহারসহ প্রায় এক ডজন বিষয় সামনে রেখে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করেছে ইসি। এখান থেকে ৭টি বিষয় প্রাধান্য দিয়ে আগামী সপ্তাহে রোডম্যাপ প্রকাশ করা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গত মঙ্গলবার বলেছেন, ভোটার তালিকা আগামী বছর মার্চ মাসে চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হবে। রোডম্যাপ এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্তভাবে অবহিত করা হবে। ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১০ থেকে ১২ পাতার নির্বাচনী রোডম্যাপ আগামী সপ্তাহে প্রকাশ করা হতে পারে।২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। দায়িত্বগ্রহণের ৬ মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন ও ইভিএম নিয়ে শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীসহ অংশীজনের সঙ্গে কয়েক দফা সংলাপ হয়েছে। এরই মধ্যে গত ২৩ আগস্ট সর্বাধিক দেড়শ আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্তের কথা জানায় ইসি। সেই আলোকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ইভিএমের নতুন প্রকল্প অনুমোদনের লক্ষ্যে কাজ করছে ইসি সচিবালয়।

এ ছাড়া বাকি কাজ সম্পাদনে ছক অনুসারে এগোতে চাইছে ইসি। কর্মপরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে আইনি কাঠামো পর্যালোচনা ও সংস্কার, নির্বাচন প্রক্রিয়া সময়োপযোগীকরণে সংশ্লিষ্ট সবর পরামর্শ গ্রহণ, সংসদীয় এলাকার সীমানা র্নিধারণ, নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সরবরাহ, বিধিবিধান অনুসরণ করে ভোটকেন্দ্র স্থাপন, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিরীক্ষা, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সবার সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণ এবং নির্বাচনে অধিকতর প্রযুক্তির ব্যবহার। সেই সঙ্গে রয়েছে দক্ষ নির্বাচনী কর্মকর্তার প্যানেল তৈরি ও প্রশিক্ষণ, ভোটার সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম, পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন ও নবায়ন কার্যক্রম গ্রহণ। তা ছাড়া নির্বাচনী কার্যক্রমে গণমাধ্যমকে আইনি কাঠামোতে সম্পৃক্তকরণ। এগুলোর মধ্যে থেকে ৭টি বিষয় প্রাধান্য দেওয়া হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন।জানা গেছে, নির্বাচনে অধিকতর প্রযুক্তির ব্যবহারের মধ্যে রয়েছে জিআইএস পদ্ধতিতে ভোটকেন্দ্রের তথ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত ডাটাবেজ ও অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার প্রণয়ন। নির্বাচনী ক্যালেন্ডার, অনলাইনে মনোনয়ন দাখিল ও গ্রহণ, প্রার্থীর তথ্য ব্যবস্থাপনা, পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম, ভোটগ্রহণ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ডাটাবেজ তৈরি, কেন্দ্রের তথ্য ব্যবস্থাপনা এবং কেন্দ্র হতে নিরাপদ ও দ্রুত সময়ে নির্বাচনী ফল প্রেরণসংক্রান্ত সিস্টেমের অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার প্রণয়ন। এ কার্যক্রম ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।