এফডিসির ঘটনায় ডিপজল-মিশা সওদাগরের দুঃখ প্রকাশপ্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেনগরমের তীব্রতা কমাতে কী কাজ করেছেন, জানালেন হিট অফিসারবিনা ভোটে নির্বাচিত ৩৩ প্রার্থীসব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে
No icon

সম্মেলন ঘিরে দুই স্রোত

জাতীয় সম্মেলন ঘিরে আওয়ামী লীগে বইছে দুই স্রোত। দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্বপদে থেকে গেলে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবছে দলের একাংশ। সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়েই ওই অংশের নেতাদের প্রবল আগ্রহ। বিপরীতে দলের অপর অংশ সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন মুখের সম্ভাবনাকে আস্থায় রেখে এগোচ্ছে। তাঁরা নেতৃত্ব বদলের আশায় বুক বেঁধেছেন।এদিকে আওয়ামী লীগের আগের কয়েকটি জাতীয় সম্মেলনের মতো এবারও বঙ্গবন্ধু পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে ঘিরে নেতাকর্মীর মধ্যে চলছে নানা আলোচনা। বিশেষ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা হোসেন পুতুল এবং শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাঠামোতে আসছেন কিনা- তা নিয়ে নেতাকর্মীর মনে ব্যাপক কৌতূহল।এ পটভূমিতে উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি প্রায় গুছিয়ে আনা হয়েছে। আগামী শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রায় সাড়ে আট হাজার কাউন্সিলর এবং সমসংখ্যক ডেলিগেটরের সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে আসার পর আধঘণ্টা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হবে। এরপর শোক প্রস্তাব উত্থাপন করবেন দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ূয়া। সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন ওবায়দুল কাদের। স্বাগত বক্তব্য দেবেন অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক শেখ ফজলুল করিম সেলিম। শেখ হাসিনার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হবে। পরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শুরু হবে কাউন্সিল অধিবেশন। এই অধিবেশনে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হবে। গঠনতন্ত্রে কোনো পরিবর্তন আসবে না।বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর প্রস্তুতি রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দূতাবাসপ্রধানকে জানানো হবে নিমন্ত্রণ। তবে এবার বিদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না।

বৈশ্বিক পরিস্থিতির পাশাপাশি অর্থনৈতিক মন্দার কারণে সম্মেলনে এবার বড় আয়োজন হচ্ছে না। এক দিনেই শেষ হবে সম্মেলনের কার্যক্রম।এরই মধ্যে সম্মেলনের পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়কের বক্তব্য ছাপার কাজ শেষ হয়েছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার আদলে গড়া মঞ্চ তৈরির কাজও শেষের দিকে। মঞ্চটি হবে তিন স্তরের। প্রথম সারিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসবেন দলের সিনিয়র নেতারা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারিতে বসবেন অন্যরা। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের ১৪০ নেতা মঞ্চে থাকবেন।এদিকে জাতীয় সম্মেলন ঘিরে আওয়ামী লীগে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। সম্মেলনে উপস্থিত কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরদের দাবির মুখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনাকে আবারও দলের সভাপতির দায়িত্ব নিতে হবে- এটা শতভাগ নিশ্চিত। ফলে কে হচ্ছেন সাধারণ সম্পাদক, কমিটিতে কারা আসছেন কিংবা বাদ পড়ছেন- এ নিয়েই আলোচনা হচ্ছে বেশি।