দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদসহ যেসব প্রস্তাব চূড়ান্ত করল বিএনপিইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক যুদ্ধে রূপ নিচ্ছে: পুতিনগুমের সঙ্গে জড়িতরা রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না: প্রেস সচিব৫ দেশ ভ্রমণে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতাইসরায়েলি হামলায় লেবাননে একদিনে নিহত ৫৯
No icon

ঢাকায় গ্যাস সঙ্কট, চলবে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত

সরবরাহ কমে যাওয়ায় আগামী ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা ও আশেপাশের জেলাগুলোতে গ্যাসের চাপ কম থাকবে। এসব এলাকায় গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে থাকা তিতাস গ্যাস কোম্পানি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।যদিও গত দেড় মাস থেকেই আবাসিকসহ সিএনজি, শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যে গ্যাস সঙ্কট চলছে। এখন তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানালো তিতাস।সূত্র বলছে, আগামী মাসও গ্যাসের সঙ্কট ভোগাবে রাজধানীবাসীকে।এছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের ভেরিফাইড ফেইসবুক পেইজেও বুধবার এক পোস্টে বলা হয়, কারিগরি কারণে ১২ থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত তিতাস গ্যাস অন্তর্গত এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করতে পারে।।জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে স্থাপিত সামিটের টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় হওয়ার এলএনজি সরবরাহ কমে গেছে। আর সংস্কারের জন্য দেশের বৃহত্তম গ্যাস ক্ষেত্র বিবিয়ানার উৎপাদন কমে গেছে। সক্ষমতার চেয়ে ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস কম সরবরাহ করছে পেট্রোবাংলা।তিতাস গ্যাসের কজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শেভরন বাংলাদেশ পরিচালিত গ্যাসক্ষেত্র বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের একটি কূপের ওয়ার্কওভারের কাজ শুরু হয়েছে। এজন্য প্রতিদিন অন্তত ১০ কোটি ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে কম যোগ হচ্ছে। গত মাসেও শেভরনের বিবিয়ানা ক্ষেত্র থেকে দৈনিক ১২৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ হত। তা কমতে কমতে গত ১০ জানুয়ারি বিবিয়ানা থেকে ১১৬ কোটি ঘনফুটে নেমে এসেছে।

শেভরনের ব্যবস্থাপক (কমিউনিকেশন) শেখ জাহিদুর রহমান সমকালকে বলেন, উত্তোলন বৃদ্ধির আওতায় তারা বিবিয়ানার একটি কূপে ওয়ার্কওভারের কাজ শুরু করেছেন। সংস্কার কাজ চলাকালে গ্যাসের উৎপাদন কমে যেতে পারে।তিনি জানান, তারা পেট্রোবাংলাকে এ বিষয়ে অবহিত করেছেন।পেট্রোবাংলার পরিচালক (পিএসসি) শাহীনুর ইসলাম সমকালকে বলেন, শেভরনের পরিকল্পনা অনুসারে চলতি মাসের মধ্যে এই কাজশে শেষ হবে।তবে তিতাস সূত্রে জানা গেছে, ওয়ার্কওভার কাজ শেষ হতে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।তিতাসের কর্মকর্তার জানান, মহেশখালীর গভীর সমুদ্রে অবস্থিত দুটি ভাসমান টার্মিনাল আমদানি করা এলএনজি প্রক্রিয়া করে দিনে একশ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব। এই দুই টার্মিনালের মধ্যে সামিট গ্রুপের টার্মিনালের মুরিং গত ১৮ নভেম্বর মুরিং ছিঁড়ে যায়। এতে টার্মিনালটিতে কোনো এলএনজিবাহী কার্গো ভিড়তে পারছে না।তখন জানানো হয়েছিল ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ত্রুটি সারিয়ে তোলা সম্ভব হবে। কিন্তু তা পিছিয়ে গেছে।টার্মিনালের মেরামত কাজ সম্পন্ন করতে ফেব্রুয়ারি প্রথম সপ্তাহ পেরিয়ে যাবে বলে সামিট পেট্রোবাংলাকে জানিয়েছে। এখন এপিলারেটের টার্মিনাল দিয়ে দিনে ৫৪ কোটি ঘনফুট গ্যাস(এলএনজি )পাইপলাইনে দেওয়া হচ্ছে।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান মঙ্গলবার বলেন, দেশের গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন কমে যাওয়ায় এবং এলএনজি সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়া একটা সঙ্কট শুরু হয়েছে। তারা নানা প্রচেষ্টার মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে।তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দুটি কুপ ওয়ার্কওভার করে ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মিলছে। বিবিয়ানা উৎপাদনে এলে আর এলএনজি টার্মিনাল চালু হলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।গ্যাস সঙ্কটের বিষয়ে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।