ব্যাংক আলফালাহর ব্যবসা অধিগ্রহণ করবে ব্যাংক এশিয়াআজ এক ঘণ্টা বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট সেবাথাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীআনাড়ি হাতে ২০ টন ট্রাক, ফের সড়কে ঝরল ১৪ প্রাণইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র
No icon

প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের জীবাণুবাহী এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে নগরবাসীর কাছ থেকে আশানুরূপ সহযোগিতা বা সাড়া পাচ্ছে না ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। মেয়ররা বারবার নগরবাসীকে অনুরোধ করে আসছেন প্রত্যেকের বাসাবাড়ি ও আশপাশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করার। নিজেরা করতে না পারলে সিটি করপোরেশনকে অবহিত করারও অনুরোধ করছেন। তাতেও নগরবাসীর সাড়া মিলছে না। ফলে প্রতিদিনই রাজধানীতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।গত মে মাস থেকে প্রায় প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চলতি মাসে তা নতুন মাত্রা পেয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই নতুন রোগীর সংখ্যা আগের দিনকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। গত ২২ জুলাই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৮৫ জন। ১০ দিনের ব্যবধানে ২ আগস্ট নতুন রোগীর ভর্তি হয় প্রায় ৩০০ জন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদ বলেন, আমাদের কাছে আগাম ধারণা ছিল এবার এডিস মশা বাড়বে।

সে অনুযায়ী ডিএসসিসি তৎপর ছিল। বছরব্যাপী মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমও নিয়েছিলেন মেয়র। জনবল বাড়ানো, কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, ভালো ওষুধ দেওয়া, যন্ত্রপাতি বাড়ানো ইত্যাদি উদ্যোগ ডিএসসিসি নিয়েছে। আগে প্রতি ওয়ার্ডে একটি টিম কাজ করত। এখন দুটি টিম সকাল-বিকেল কাজ করে। এ ছাড়া জানুয়ারি থেকে মোবাইল কোর্ট, মাইকিং, লিফলেট বিতরণ করেছি। আগে বাসাবাড়ি পরিচ্ছন্ন করার জন্য একটা নামমাত্র ফি ধরা হয়েছিল। পরে সেটা ফ্রি করা হয়েছে। তার পরও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এত বড় একটা শহরে মানুষ যদি সচেতন না হন, তাহলে কাজটা করা কঠিন হয়ে পড়ে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অতিরিক্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা লে. কর্নেল গোলাম মোস্তফা সারওয়ার বলেন, ডিএনসিসি এলাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কম। তার পরও এই অবস্থার পেছনে কারণ, আমরা মানুষকে ঠিকমতো সচেতন করতে পারছি না। নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে এডিস মশা বেশি পাওয়া যাচ্ছে। তাদের জরিমানা করছি। কিছুদিন পর ওই ভবন পরিদর্শনে গেলে আবারও সেখানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। বাসাবাড়ির কিছু লোক সচেতন হলেও সরকারি ভবন ও নির্মাণাধীন ভবন মালিকদের কোনোভাবেই সচেতন করতে পারছি না। কিছু ভবনে আমাদের ঢুকতেও দেয় না, নিজেরাও পরিস্কার করে না।