সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়েতাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির বেশি যেসব অঞ্চলেবিশ্ব ধরিত্রী দিবস আজপ্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: সংশোধিত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৪৬ হাজারসকালের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস
No icon

ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে খুলতে পারে শিক্ষাঙ্গন

প্রায় ১১ মাস পর খুলতে যাচ্ছে দেশের শিক্ষাঙ্গন। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে স্বল্প সময়ের নোটিশে খুলে দেওয়া হবে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়। এ জন্য ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর প্রস্তুতি নিতে হবে।বৃহস্পতিবার শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব নিয়ে আলোচনা হয়। সে অনুযায়ী দু-এক দিনের মধ্যে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গাইডলাইন পাঠানো হবে।তাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) করোনা থেকে সুরক্ষা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ থাকবে। প্রসঙ্গত, গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে।বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি যুগান্তরকে বলেন, বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।

যে কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ফের চালুর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। তবে কবে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু হবে, সেই দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়নি।স্বল্প সময়ের নোটিশে যাতে আমরা প্রতিষ্ঠানগুলোয় শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারি, সে ব্যাপারে প্রস্তুতির নির্দেশনা দেওয়া হবে। ২-৩ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত গাইডলাইন পাঠানো হবে।এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশনা চেয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে রিট করেছেন ভাওয়াল মির্জাপুর পাবলিক স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল কাইয়ুম সরকার। এর আগে একই বিষয়ে তিনি গত ১১ জানুয়ারি সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ দিয়েছিলেন।জানা গেছে, ওই বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এমপি, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম উপস্থিত ছিলেন।এ ছাড়া দুই মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন। বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে এক ঘণ্টার বেশি সময় স্থায়ী হয় ওই বৈঠক।

সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে যে গাইডলাইন পাঠানো হবে, তা ইতোমধ্যে দুই মন্ত্রণালয় তৈরি করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ডব্লিউএইচওর নির্দেশনা অনুযায়ী তৈরি করা ওই গাইডলাইন এখন হালনাগাদ করা হবে।এর মধ্যে আছে স্বাস্থ্যবিধি (হাইজিন) অনুযায়ী বিদ্যালয়ের টয়লেটসহ অন্যান্য দিক পরিচ্ছন্ন রাখা অন্যতম। এ ছাড়া শ্রেণিকক্ষ, মাঠ ও আশপাশ এলাকা পরিষ্কার করতে হবে।একইসঙ্গে স্যানিটাইজার-মাস্ক কেনা এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের মানসিকভাবে তৈরি থাকতে হবে। করোনার কারণে স্কুল খুলতে বাড়তি ব্যয় হবে।সেই ব্যয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বিবিধ তহবিল থেকে নির্বাহ করবে। এ জন্য আলাদা কোনো খাতে ফি নেওয়া যাবে না বলে বৈঠকে আলোচনা হয়।